আজ বুধবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নদী ভাঙনের প্রভাব পড়েছে নড়িয়ার ঈদ বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজান মাসের শেষ দিকে সারাদেশের মতো শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ও জমে উঠেছে ঈদের বাজার। তবে ব্যবসায়ীদের দাবী গত বছর পদ্মা নদীর ব্যাপক ভাঙনের প্রভাব পড়েছে ঈদ বাজারে। আগের বছরের তুলনায় এবার বেচা কেনা অনেক কম।

তবে দিন যত গড়াচ্ছে, বিপণী বিতানগুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে রুচিসম্মত পোশাক বেছে নিচ্ছেন ক্রেতারা। হালকা রঙ্গের পছন্দসই ডিজাইনের পোশাক খুঁজছেন মার্কেট থেকে মার্কেটে। দেশী পণ্যের পাশাপাশি চাহিদা আছে বিদেশী পণ্যেরও। তবে এবার একটু দাম বেশি রয়েছে বলে দাবি ক্রেতাদের।

সকালের দিকে ক্রেতা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে সমাগম। ফুটপাত থেকে মার্কেট,শপিং মল, বিপণি বিতান সবখানেই ক্রেতা লক্ষ করা গিয়েছে।

তবে নড়িয়া বাজারের বিক্রেতাদের দাবি এখন আর আগের মত বেচাকেনা নাই, গতবছর পদ্মার ভাঙনের কারনে যোগাযোগ ব্যাবস্থা না থাকায় এবার ক্রেতা সমাগম অনেক কম।

রহমান প্লাজার ইরা শারি’জ এর মালিক আঃ সালাম বলেন, ঝামেলা এড়াতে আগে ভাগেই অনেকে শপিং করে ফেলেছে তাই এখন বেচাকেনা একটু কম, তবে ইদের আগে সোমবার থেকে আবার বেচাকেনা বাড়তে পারে।

ছোয়া বস্ত্র বিতান এর মালিক হেলাল বলেন, নদী ভাঙ্গনের কারনে নড়িয়া বাজারের অবস্তা বেশি ভালো না, তবে এবার এইন্ডিয়ান ড্রেসের প্রতি চাহিদা বেশি। ফ্লোল টাস, গাউন, বিভিন্ন কোয়ালিটির শাড়ী চলছে এবার।

অনার্সে পড়ুয়া শিক্ষার্থী বৃষ্টি আক্তার এসেছিল শপিং করতে, পরিবারের সবার জন্য শপিং করে তিনি বলেন গত বারের চেয়ে এবার একটু দাম বেশিই রাখা হচ্ছে, তবে পছন্দের জিনিসগুলো সবই কেনা হয়েছে।

সোনার বাজারের বাসিন্দা রিয়াদ বলেন, ১সপ্তাহ আগেই শপিং করে ফেলেছি, এখন শুধু মাত্র পারফিওম ও হালকা পাতলা কিছু কেনাকাটা বাকি আছে।

চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা মনি বেগম এসেছে পারিবারের জন্য কেনাকাটা করতে, তিনি বলেন মুটামুটি সব কিছুই কেনাকাটা হয়েছে, দাম ও বেশি এবার, তবে পছন্দের কাছে দাম কোন ফ্যাক্ট না।

শেষ সময়ে পোশাকের পাশাপাশি জুতা, প্রসাধনী ও গহনার মতো অনুষঙ্গ কিনতে শপিংমলে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
বিভিন্ন বিপণী বিতানে এখন নারীদের ভিড়ই বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দোকানগুলোতেও তরুণ-তরুণী ও শিশুদের তৈরী পোশাকের বিপুল সমাহার।