
রুপক চক্রবর্তী, শরীয়তপুর: সত্য সুন্দর ঐক্য, সম্প্রীতিই শান্তি এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে শরীয়তপুর জেলা ব্রাহ্মন সংঘের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও সাধারন সভা-১৪২৬ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৯ শে আষাঢ়, ০৫ই জুলাই) সকাল ১০ টায় শরীয়তপুর জেলা ব্রাহ্মন কল্যান সংঘের প্রধান কার্যালয় ধানুকা মনসা বাড়ি মন্দির প্রাঙ্গনে ব্রাহ্মন কল্যান সংঘের জেলা কমিটির আয়োজনে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা ব্রাহ্মন কল্যান সংঘের সভাপতি শ্রী শ্যামাপদ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা ব্রাহ্মন কল্যান সংঘের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নারায়ণ চক্রবর্তী, সমীর ব্রহ্মচারী, সুবাস চক্রবর্তী।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা ব্রাহ্মন সংঘের সহ-সভাপতি শ্রী অজিত লাল মুখার্জি, শ্রী কাজল লাল ঠাকুরতা, শ্রী হিমাংসু ঘোষাল,
শ্রী দ্বীজদাস আচার্যী, সাধারন সম্পাদক শ্রী রতন চক্রবর্তী, সিনিয়র সদস্য শ্রী শিবুনাথ গোস্বামী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বনদেব গোস্বামী, সাংগঠনিক সম্পাদক মনোরঞ্জন চক্রবর্ত্তী, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সুবাস চ্যাটার্জী, সাংগঠনিক সম্পাদক রুপক চক্রবর্তী, সৈকত ভট্টাচার্য, সহ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সুশীল চক্রবর্ত্তী, সাধারন সদস্য স্বপন চক্রবর্তী, উজ্জল চক্রবর্তী, নিত্যগোপাল চক্রবর্তী, সহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত জেলা ব্রাহ্মন সংঘের সদস্য বৃন্দ সহ প্রমুখ।
এ সময় অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের আহবায়ক, শ্রী শংকর প্রসাদ চৌধুরী, চাঁদপুর থেকে আগত অতিথি সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা, বিজ্ঞ পুরোহিত শ্রী দিনেশ চক্রবর্ত্তী।
এ সময় কমিটির মেয়াদকাল দ্বি বার্ষিক থেকে বৃদ্ধি করে তৃ বার্ষিক করে আগামী ৩ বছরের জন্য পূর্বের কমিটিকেই পূনরাশ ঘোষনা করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। নতুন কমিটিতে পূনরায় শ্যামাপদ চক্রবর্তী কে সভাপতি ও রতন চক্রবর্তী কে সাধারণ সম্পাদক করে ৪১ জন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত অতিথি গন তাদের বক্তব্যতে বলেন আমরা জেলার সকল ব্রাহ্মন গন সকলে একই পরিবারের মানুষ। আমরা সকলে সকলে ঐক্যবদ্ধ। আমরা যদি সর্বদা এভাবেই ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি তাহলে কেউ কখনোই আমাদের কোন ক্ষতি করার ইচ্ছা করলেও পারবে না। আমরা একে অপরের বিপদে আপদে সাহায্য করবো, সহযোগিতা করবো। আমাদের একে অপরের সাথে এক মধুর সম্পর্ক বিরাজমান থাকবে। আমাদের সকল ব্রাহ্মনদের নিত্যকর্ম গুলো সর্বদা পালন করতে হবে। নিয়মিত পুরহিত দর্পন, চন্ডী, গীতা এগুলো পাঠ করতে হবে। ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করতে হবে। ধর্মীয় দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশ ও দশের মঙ্গলের জন্য কাজ করে যাবো।