আজ শনিবার, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

জাজিরায় পদ্মা নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে দু’টি বিদ্যালয়

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে দুটি বিদ্যালয়। নদীর ভাঙন এখন বিদ্যালয় দুটির কিনারে এসে ঠেকেছে। এতে এতে শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটি হলো- উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের ভানু মল্লিকের কান্দি গ্রামে অবস্থিত কাজিয়ার চর ছমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে রয়েছে সাড়ে ৫শ শিক্ষার্থী। পাশাপাশি হুমকিতে রয়েছে কাজিয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে রয়েছে ৮৪ জন শিক্ষার্থী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ঠিকাদারের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে ১৫ হাজার বালুর বস্তা (জিওব্যাগ) ফেলা হচ্ছে। নদী ঘেঁষে ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে আছে চারতলা ফাউন্ডেশনের একতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। আর ১শ হাত দূরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।
কাজিয়ার চর ছমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সরস্বতী রানী সাহ বলেন, দিন দিন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কমে গেছে। পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীমের নির্দেশে বিদ্যালয় রক্ষার জন্য ইতোমধ্যে বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে।
কাজিয়ার চর ছমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, গত বছর যখন তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয় তখন বিদ্যালয় ভেঙে যাবে ভয়ে জাজিরা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন জব্বর আলী আকনকান্দি গ্রামে কাজিয়ার চর ছমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শাখা খোলা হয়। সেখানে আড়াইশ শিক্ষার্থী রয়েছে। পদ্মা নদীর পাড়ে বাকি শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভাঙনের মুখে রয়েছি আমরা। বর্ষা হলে চারদিকে পানিবন্দি হয়ে থাকতে হয়। স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ না করতে পারলে বিদ্যালয়টি রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা বিদ্যালয় দুটি রক্ষার্থে কাজ করছে। বিদ্যালয়ে এ বছর পাঠদানে কোনো সমস্যা নেই।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার বলেন, বিদ্যালয় ভাঙন রোধে অস্থায়ী ভিত্তিতে ৬০ লাখ টাকার বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও ফেলা হবে। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান রক্ষায় মনিটরিং কমিটি কাজ করছে।