আজ শনিবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গুজব ঠেকাতে শরীয়তপুরে পুলিশের সচেতনতা কর্মসূচি

পদ্মা সেতু নির্মাণের শুরু থেকে দেশি বিদেশী চক্রান্তকারীরা ষড়যন্ত্র করে আসছে। চক্রান্তকারীদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সর্বশেষ গুজব ছড়াচ্ছে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে মানুষের মাথা লাগবে। আর এই সুযোগে কিছু অসৎ ব্যক্তি শরীরের মূল্যবান অঙ্গপ্রতঙ্গ বিক্রির জন্য শিশুদের অপহরণ করে থাকতে পারে। কিন্তু পদ্মাসেতু নির্মানে কখনো মানুষের মাথা লাগবে এটা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন গুজব। আর এই গুজবকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গুজব ছড়িয়ে নির্দোষ নিরিহ মানুষকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। এটা অমানবিক ও মারাত্মক অপরাধ। আর এসব বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছে শরীয়তপুর জেলা পুলিশ। শরীয়তপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ মাদ্রাসায় সচেতনতামূলক প্রচারণা শুরু করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বুধবার (২৪ জুলাই) বেলা ১১টায় জেলা পুলিশের উদ্যোগে শরীয়তপুর জেলা শহরের সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন শিকদার ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে দেশের সবচেয়ে বড় সেতু নির্মাণ হচ্ছে। সেতু নির্মাণের অধিকাংশ কাজ ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। এই পদ্মা সেতু নিয়ে দেশী এবং বিদেশী অনেক চক্রান্তকারীরা ষড়যন্ত্র করেছে, মিথ্যা গুজব ছড়িয়েছে। কিন্তু তার পরও পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়নি। পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে দেখে চক্রান্তকারীরা সর্বশেষ গুজব ছড়াচ্ছে পদ্মা সেতু নির্মাণে অনেক মানুষের মাথা লাগবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, তোমরা কি কখনো শুনেছো মানুষের মাথা দিয়ে কখনো কোন সেতু নির্মাণ হয়েছে। সেতু নির্মাণ করতে কি লাগে? সেতু নির্মাণ করতে লাগে রড সিমেন্ট সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি। কিন্তু যারা মানুষের মাথা লাগবে বলে গুজব ছড়াচ্ছে তারা আসলে পদ্মা সেতু নির্মাণ হোক এটা চায় না। তারা দেশের শত্রু। আর এসব গুজবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকায় গুজব ছড়িয়ে নিরিহ নিরপরাধ মানুষকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। কোথাও কেউ গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করলে তাকে ধরে পুলিশে দিতে হবে। কারো ব্যাপারে কোন সন্দেহ হলে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে পুলিশকে জানাতে হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া মারাত্মক অপরাধ। আজকে যারা গুজব ছড়িয়ে মানুষ পিটিয়ে হত্যা করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। যারা গুজব ছড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে তাদেরও বিচার হবে। তাই এ ব্যাপারে সবাইকে সাবধান হতে হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নিলেই বিপদে পড়তে হবে। তাই তোমরা কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবে না।
এ সময় পালং মডেল থানার ওসি (অপারেশন) মো. আশরাফুল ইসলাম, শরীয়তপুর সরকারী গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন সহ স্কুলের সকল শিক্ষক ও ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।