আজ শনিবার, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শরীয়তপুরে ভুয়া পুলিশ সুপার ও তার সহযোগি আটক

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় রাকিব আহম্মেদ (২৫) নামে এক ভুয়া পুলিশ সুপারকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বুধবার (২৮ আগষ্ট) বিকাল ৩টার দিকে গোসাইরহাট উপজেলার হাটুরিয়া পাঁচকাঠি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার সহযোগি মসজিদের ইমাম দেলোয়ার হোসেনকেও (৩০) আটক করা হয়।
ভুয়া পুলিশ সুপার রাকিব আহম্মেদ গোসাইরহাট উপজেলার হাটুরিয়া পাঁচকাঠি গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে এবং খাজা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান খাজা মজিবুর রহমানের ভাগ্নে (বোনের ছেলে)। সহযোগি দেলোয়ার বেপারী ভুয়া পুলিশ সুপার রাকিবের এলাকায় একটি মসিজদে ইমামতি করেন। সে একই জেলার ডামুড্যা উপজেলার বালিয়া কান্দি গ্রামের খলিল বেপারীর ছেলে।
বুধবার (২৮ আগষ্ট) বিকাল ৫টায় পুলিশ সুপার কার্যায়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভুয়া পুলিশ সুপার ও তার সহযোগিকে আটকের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন।
পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে রাকিব চাকরী দেওয়ার কথা বলে অনেকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। রাকিব ঢাকায় থেকে পড়াশোনা করে। মাঝেমধ্যে শিল্পপতি মামার দামি গাড়িতে চড়ে এলাকায় এসে মানুষের কাছে নিজেকে এসপি পরিচয় দেন এবং তাদের সাহায্য সহযোগিতার কথা বলেন।
প্রায় এক বছর আগে ডামুড্যা উপজেলার দশমনতারা গ্রামের আবু তাহের হাওলাদারের ছেলে উজ্জল হাওলাদার ও একই গ্রামের শাহে আলম বেপারীর ছেলে তৌহিদুল ইসলামকে চাকরী দেওয়ার কথা বলে দেলোয়ার বেপারীর সহযোগিতায় তাদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ভুয়া পুলিশ সুপার রাকিব আহম্মেদ।
এক বছর পাড় হয়ে গেলেও চাকরী দিতে না পারায় গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) তারা ভুয়া পুলিশ সুপার রাকিব ও তার সহযোগি দেলোয়ারের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে গোসাইরহাট উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে ভুয়া পুলিশ সুপার রাকিব ও তার সহযোগি দেলোয়ারকে আটক করে। এছাড়া রাকিব অনেকের কাছ থেকে চাকরী দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন।