
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় চলমান নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন ও কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক এবং পদ্মারভাঙ্গন কবলিতদের মাঝে নগদ অর্থও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেনে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবার) সকালে নড়িয়া উপজেলার মুলফৎগঞ্জ উপস্থিত হয়ে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন ও কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। দুপুরে কেদারপুর স্কুল মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আশ্রাফুন্নেছা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নগদঅর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এমপি।
নগদ অর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী শামীম বলেন, নড়িয়াকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে ভাঙনের ১৩টি বাড়ি বিলিন হয়েছে। তাৎক্ষনিক ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হয়েঠে। টার্গেট ছিল ২৮ লক্ষ জিওব্যাগ ডাম্পিং করার কিন্তু এ পর্যন্ত ৩৪ লক্ষ জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আল্লাহর রহমতে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নদী আর ভাঙ্গছে না। তারপরেও ত্রান বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
আগামী ২ মাসের মধ্যেই ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা রিফিলিং করে জমির মালিকদের ফিরিয়ে দেয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা ও আর্থিক সহায়তা ভাঙন কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্থদের দেয়া হচ্ছে। মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বদা অসহায় ক্ষতিগ্রস্থ নদীভাঙন কবলিতদের পাশে আছেন।
জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন পাইক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসমাইল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তী রূপা রায়, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী হাচান আলী রাড়ী, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, যুগ্ম সম্পাদক আলাউদ্দিন বেপারী, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ দাস, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতা জহির সিকদার, কেদারপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।