
শরীয়তপুরের পদ্মা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৬৫ জন জেলেকে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাফি বিন কবির এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। এছাড়া জব্দকৃত ৫৪৫ কেজি মা ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ ও ২ লাখ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিনগত ১২টা থেকে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত শরীয়তপুরের নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীতে অভিযান চালায় মৎস্য অধিদপ্তর, পুলিশ ও ভ্রাম্যমান আদালত।
এ সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ শিকারের অপরাধে নড়িয়া এলাকায় ৬৫ জন জেলে আটক, ১ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ও ৩০০ কেজি মা ইলিশ জব্দ, জাজিরা এলাকায় ৮০ জন জেলে আটক, ৬০ হাজার মিটার জাল ও ২০০ কেজি ইলিশ জব্দ এবং ভেদরগঞ্জ এলাকায় ২০ জন জেলে আটক, ৪০ হাজার মিটার কারেন্ট জার ও ৪৫ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাফি বিন কবির বলেন, সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৬৫ জন জেলেকে আটক করে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া জব্দকৃত ৫৪৫ কেজি ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ ও ২ লাখ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যতোদিন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা থাকবে ততোদিন পর্যন্ত আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ৯ হতে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারা দেশব্যাপী ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে সরকার। শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পাইনপাড়া থেকে নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ হয়ে গোসাইরহাট উপজেলার খুনের চর পর্যন্ত পদ্মা ও মেঘনা নদীর মোট ৭০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২২ দিনের জন্য সকল ধরনের জাল ফেলার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।