আজ বৃহস্পতিবার, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মা ইলিশ ধরার অপরাধে শরীয়তপুরে ১৬৫ জেলেকে কারাদন্ড

শরীয়তপুরের পদ্মা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৬৫ জন জেলেকে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাফি বিন কবির এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। এছাড়া জব্দকৃত ৫৪৫ কেজি মা ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ ও ২ লাখ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিনগত ১২টা থেকে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত শরীয়তপুরের নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীতে অভিযান চালায় মৎস্য অধিদপ্তর, পুলিশ ও ভ্রাম্যমান আদালত।
এ সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ শিকারের অপরাধে নড়িয়া এলাকায় ৬৫ জন জেলে আটক, ১ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ও ৩০০ কেজি মা ইলিশ জব্দ, জাজিরা এলাকায় ৮০ জন জেলে আটক, ৬০ হাজার মিটার জাল ও ২০০ কেজি ইলিশ জব্দ এবং ভেদরগঞ্জ এলাকায় ২০ জন জেলে আটক, ৪০ হাজার মিটার কারেন্ট জার ও ৪৫ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাফি বিন কবির বলেন, সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৬৫ জন জেলেকে আটক করে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া জব্দকৃত ৫৪৫ কেজি ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ ও ২ লাখ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যতোদিন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা থাকবে ততোদিন পর্যন্ত আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ৯ হতে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারা দেশব্যাপী ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে সরকার। শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পাইনপাড়া থেকে নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ হয়ে গোসাইরহাট উপজেলার খুনের চর পর্যন্ত পদ্মা ও মেঘনা নদীর মোট ৭০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২২ দিনের জন্য সকল ধরনের জাল ফেলার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।