
শরীয়তপুরের জাজিরায় নিষিদ্ধ মা ইলিশ সহ ভূয়া পুলিশের গাড়ি আটক এবং দুই ভূয়া পুলিশ গ্রেফতার। ২৭ অক্টোবর রাত সাড়ে নয়টার দিকে জাজিরা উপজেলার সফি গাজির মোড়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিষিদ্ধ মা ইলিশ ধরা এবং বহন করা অভিযান কালে জাজিরা থানার এ এস আই আতিকুল সহ পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল টহলের সময় সফিগাজির মোড়ে পুলিশের গাড়ির মত দেখতে একটি পিকাপ ভ্যান রাস্তার পাশে দেখতে পায়। কিন্তু চৌকশ এ এস আই আতিকুল তার বুদ্ধি মত্তায় গাড়ির লোককে জিজ্ঞাসা করে এই গাড়ি কোন থানার? এই কথা বলতেই তাদের কথাবার্তাতে আমজাদ হোসেন ও মিশন ঔরফে মিঠুন ভূয়া পুলিশ হিসাবে চিহ্নিত হয় এবং এই গাড়ি ও তাদের ব্যবহৃত ভূয়া পুলিশের পিকাপ ভ্যান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
প্রতারক আমজাদ পুলিশ কর্মকর্তার জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গত ২৭ অক্টোবর মাদারীপুর হইতে একটি পিকাপ ভ্যান পুলিশের গাড়ি মত রং এবং ডিজাইন করে সাত জন প্রতারক ভূয়া পুলিশ সেজে জনগণের কাছে পুলিশ পরিচয়ে নিষিদ্ধ মা ইলিশ ছিনিয়ে নেয়। যার গাড়ির নাম্বার টাটা ঢাকা মেট্রো-ন ১৫-৪২৯১।
এই আটককৃত ভূয়া পুলিশরা হলেন, সৈয়দ মিশন ঔরফে মিঠুন ও মোঃ আমজাদ হোসেন। এ সময় ঘটনাস্থল হতে জাজিরা থানার কর্তব্যরত পুলিশ আটককৃত ২ নং আসামী মোঃ আমজাদ হোসেন-এর কাছ থেকে তল্লাসী করে একটি ওকি টকি পাওয়া যায় এবং ভূয়া পুলিশের পিকাপ ভ্যান থেকে তল্লাসী করে পিস্তলের ন্যায় দেখতে স্টিলের দুই পিস পাত পাওয়া গেছে। জাজিরা থানার কর্তব্যরত পুলিশ অত্যন্ত সৎ ও নিষ্ঠাবান পুলিশ কর্মকর্তা এস আই মনির হোসেনের নেতৃত্বে এ এস আই আতিকুল ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য-এর সহযোগিতায় দুই ভূয়া পুলিশ এবং ভূয়া পুলিশের ব্যবহৃত পুলিশের পিকাপ ভ্যান আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে ছুটে যান, শরীয়তপুরের কর্মরত সাংবাদিক নূরুজ্জামান শেখ।
স্থানীয় সুত্রে ঘটনাস্থল থেকে জানা যায়, মা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ অভিযানকালে গত কয়েকদিন ধরে এই প্রতারকরা পুলিশের গাড়ির মত দেখতে এই গাড়িটি সফিগাজির মোড়ে রেখে সিভিল পোশাকে সাত থেকে আটজন জনগণের কাছ থেকে মা ইলিশ পুলিশের ভয় দেখিয়ে ছিনিয়ে নেয়।
জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বেলায়েত হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন দুই ভূয়া পুলিশসহ তাদের ব্যবহৃত পুলিশ পিকাপ ভ্যান আটক রয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১০৭/৩৪ ধারা এবং নিষিদ্ধ মা ইলিশ ধরা বন্ধ অভিযানে মৎস্য আইনে ৫(১) ধারায় মামলা হয়েছে।