
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নছিমন চালক দুলাল শেখকে হত্যার দায়ে ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার বিকেলে শরীয়তপুরের জেলা ও দায়রা জজ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর চার আসামি পলাতক।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি সাকিমআলী চৌকিদারকান্দি গ্রামের হোসেন মোল্লার ছেলে মো. নুরুল হক মোল্লা (৩৫), নুরু হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৭), আব্দুল হক খালাসির ছেলে মনির খালাসি (২৮), পশ্চিম নাওডোবা সরলখারকান্দি গ্রামের মালেক মাদবরের ছেলে সুমন মাদবর (২৯), আমজাদ মাদবরের ছেলে আব্দুল আলীম (৩২) ও হাজী তাহের ঢালীকান্দি গ্রামের আজিজ ঢালীর ছেলে আবু ঢালী (৩৩)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালে ১৫ মে দুপুর ২টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে জাজিরা উপজেলার কাজিরহাট বাজারের সিনেমা হলের জনৈক নুরুল ইসলামের হোটেলে খাবার খেয়ে নছিমনে দুইজন যাত্রী নিয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাটের দিকে যান দুলাল শেখ।
এরপর আর বাড়ি ফিরে আসেননি তিনি। ১৬ মে উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের মানিকনগর তালতলা সড়কের পাশ থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দুলাল শেখের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন দুলাল শেখের ছোট ভাই আলাল শেখ জাজিরা থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৪ সালের ৮ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এ মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর মির্জা হজরত আলী বলেন, এ রায়ে আমরা খুশি। রায় ঘোষণার সময় সুমন মাদবর ও আবু ঢালী হাজির ছিলেন। তবে নুরুল হক মোল্লা, রাসেল হাওলাদার, মনির খালাসি ও আব্দুল আলীম পলাতক রয়েছেন।
আসামীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন হাওলাদার বলেন, আদালতের এই রায়ে আমি খুশি নই। উচ্চ আদালতে যাব আমরা।