
মেসার্স মাহাবুব খান ট্রেডার্স, স্বত্বাধিকারী-মিরাজ খান। শরীয়তপুর জেলার প্রধান পাইকারী বিক্রেতা। তিনি ফরিদপুর থেকে ১৪০-১৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনে আনেন। আগের দিনের কম দামে কেনা সেই পেঁয়াজের মূল্য তার আংগারিয়া বাজারস্থ আড়তে ১৫১ টাকা প্রতি কেজি প্রদর্শণ করলেও খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করেন ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা দরে, যার রশিদ তিনি প্রদান করেন না। তিনি মৌখিকভাবে খুচরা ব্যবসায়ীদেরকে উক্ত পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৮০-২০০ টাকা দরে বিক্রি করার নির্দেশ দেন। শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সরেজমিনে তদন্ত করে এর সত্যতা প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া তিনি তার পালং বাজারস্থ আরেকটি আড়তে কোনরূপ মূল্য প্রদর্শণ না করেই ব্যবসা পরিচালানা করছিলেন যা তার মূল্যে কারসাজির একটি হাতিয়ার। এমতাবস্থায়, পালং বাজারস্থ আড়তে মূল্য প্রদর্শণ না করা, আংগারিয়া বাজারস্থ আড়তে প্রদর্শিত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করা এবং রশিদ প্রদাণ না করে মূল্যে কারসাজি করায় তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহার নির্দেশক্রমে, শরীয়তপুর জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আবু তাহের ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরীয়ার এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১৪ নভেম্বর এ অভিযানটি পরিচালিত হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, শরীয়তপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুজন কাজীর নেতেৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন ক্যাব-শরীয়তপুর এর সভাপতি বিল্লাল হোসেন খান, সদর উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মো: আবুল হোসেন এবং শরীয়তপুর জেলা পুলিশের একটি টিম। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।