
জাজিরায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা তুলে নিতে বাদীকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করে বাদি ও তার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। প্রধান আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টায় পুলিশ। আসামীর পরিবারের দাবী ঘটনার পরপরই ধর্ষককে বিদেশ পাঠানো হয়েছে। মামলা আইনের গতিতে চলবে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের মির্জা হজরত আলী হাই স্কুলের এক ছাত্রীকে উপজেলার বড়কান্দি সুধন্য মন্ডলের কান্দি গ্রামের জলিল বেপারীর ছেলে শওকত বেপারী ডেকে নিয়ে তাদের বসত ঘরে বন্ধি করে। পরে পূর্বে থেকে ঘরে থাকা একই গ্রামের দুলাল সিকদারের ছেলে সাগর সিকদার জোর পূর্বক ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষিতার আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পারলে সহযোগী আসামী শওকত বেপারী ধর্ষক ও ধর্ষিতাকে ঘরের ভিতরে রেখে ঘরের বাহির থেকে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এসে ঘরের তালা ভেঙ্গে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে। তখন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মুরব্বিগণ বিষয়টি মীমাংসা করার আশ্বাস প্রদান করে। এই সময়ের মধ্যে প্রধান আসামী ধর্ষক সাগর পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে জাজিরা থানায় সাগর ও শওকতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তা করার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। জাজিরা থানা পুলিশ সহযোগী আসামী শওকতকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এখন পলাতক প্রধান আসামীর পরিবার মামলা তুলে নিতে বাদি ও বাদির পরিবারকে হুমকি প্রদান করছে।
ধর্ষিতার পিতা জানায়, আসামীর বাড়িতে ডেকে নিয়ে ঘরে তালাবদ্ধ করে গত ১৩ নেেভম্বর তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এই বিষয়ে ১৪ নভেম্বর জাজিরা থানায় মামলা দায়েরের পর সহযোগী আসামী গ্রেফতার হয়েছে। প্রধান আসামীর পরিবার মামলা তুলে নিতে তাকে ও তার পরিবারকে হুমকি প্রদান করছে। এখন বাদি ও বাদির পরিবারের কোন সদস্য নির্বিঘেœ চলাফেরা করতে পারছে না। তিনি পুলিশের কাছে দাবী জানাচ্ছেন প্রধান আসামীকে যেন গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
প্রধান আসামীর পিতা দুলাল সিকদার বলেন, আমার ছেলে ধর্ষণ করেছে। ঘটনার ৬ দিন পর তার ছেলেকে হংকং পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রচলিত আইনে যে বিচার হবে তা তারা মেনে নিবে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আতাহার মোল্যা বলেন, ঘটনা পরবর্তী আমি ঘটনাস্থলে যাই। ছেলে মেয়ে উভয়ই আমার আত্মীয়। তাই বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করি। এখন থানায় মামলা হয়েছে। একজন আসামী গ্রেফতার হয়ে হাজতে আছে। এখন যা হওয়ার তা আইনেই হবে। আমাদের কিছুই করার নাই।
জজিরা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাহারুল ইসলাম সরকার বলেন, মামলা পরবর্তী একজন আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধান আসামী গাঁ ঢাকা দিয়েছে। প্রধান আসামীকেও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাদি পক্ষের কাছে যদি পলাতক আসামীর সন্ধান থাকে তাহলে যেন পুলিশকে অবগত করেন। তাহলে পুলিশের সহজ হবে।