আজ বুধবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

পদ্মা সেতুর সাড়ে ৩ কিলোমিটার দৃশ্যমান

শরীয়তপুরের জারিরা প্রান্তে রোববার পদ্মা সেতুর ২৩তম স্প্যান বসানো হয়েছে। বেলা ৩টার দিকে সেতুর ৩১ ও ৩২ নম্বর পিলারের ওপর ‘৬-এ’ নামে এ স্প্যানটি বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে সেতুর ৩ হাজার ৪৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি সেতুর ২২তম স্প্যান বসানো হয়।

সকাল ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাক্টশন ইয়ার্ড থেকে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যান নিয়ে সেতুর নির্ধারিত পিলারের উদ্দেশে রওনা দেয় ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই।

পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই সকাল ১০টার দিকে ‘৬-এ’ স্প্যান নিয়ে নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছায়। এরপর সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা স্প্যান বসানোর কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টা চালিয়ে বেলা ৩টার দিকে স্প্যানটি বসাতে সক্ষম হন প্রকৌশলীরা।

প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে ৩৫টি। বাকি স্প্যানগুলো মার্চের মধ্যেই দেশে চলে আসবে। সিডিউল মেনে বাকি স্প্যান বসাতে পারলে আগামী বছরের জুলাই নাগাদ ৪১টি স্প্যান বসানো শেষ হবে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ২০২১ সালেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।