আজ সোমবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ইয়াবার টাকা জোগাতে ডাকাতি করত সখিপুরের নাজমুল

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে মো. নাজমুল সরকার (২২) নামে একজন ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ২ টার দিকে সখিপুর থানার ডিএমখালি মুসলমানকান্দি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ সুপার সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার এস.এম. আশরাফুজ্জামান প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) মোহাইমিনুল ইসলাম, পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বিশেষ শাখার ডিআইও-১ আজহারুল ইসলাম, সখিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক এনাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
আটক- মো. নাজমুল সরকার সখিপুর থানার ডিএমখালি সরদারকান্দি গ্রামের মিজানুর রহমান বাচ্চু সরকারের ছেলে। নাজমুল সরকার জানায়, একাদশ শ্রেণিতে যখন পড়তেন তখন থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট সেবন করতেন নাজমুল। খারাপ ছেলেদের সাথে মিশে তিনি ইয়াবা ট্যাবলেট খাওয়া শিখেন। নেশা করেন, তাই পরিবার থেকে তাকে কোন টাকা দেয় না। তাই ইয়াবা ট্যাবলেটের টাকা জোগাতে ডাকাতি শুরু করেন নাজমুল।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে সখিপুর থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে সখিপুর থানার ডিএমখালি মুসলমানকান্দি ব্রীজের ওপর বেশ কয়েকজন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করেছেন। পুলিশ গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে গাড়ির শব্দ পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করে। পালনোর চেষ্টাকালে মো. নাজমুল সরকারকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নাজমুল স্বীকার করেন, তার সাথে রাকিব রকি (২০), রিপন (২৮), আকাশ (২৮), রিদুল বালা (২৩), হাসিব (২৪) সহ ২/৩ জন ছিলেন। তারা সবাই যাত্রিবাহী গাড়িতে ডাকাতি করতে ওই ব্রীজের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এ ঘটনায় সখিপুর থানার পুলিশ বাদী হয়ে একটি ডাকাতি মামলা করেছেন।
পুলিশ সুপার এস.এম. আশরাফুজ্জামান বলেন, অপরাধী যেই হোক পুলিশ তাদের আইনের আওতায় আনবে। কেউ ছাড় পাবে না। তিনি বলেন, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে নাজমুলকে আটক করা হয়। তার সঙ্গে যারা ছিলেন তাদেরও আটক করা হবে।