আজ শনিবার, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নড়িয়ায় পুলিশের সহযোগীতায় করোনা সন্দেহে মৃত যুবকের দাফন

শরীয়তপুরে করোনা সন্দেহে আইসোলেশনে ভর্তি হওয়ার যুবকের মরদেহ পুলিশের সহযোগীতায় দাফন করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে বুধবার (১ এপ্রিল) নড়িয়া উপজেলার চন্ডিপুর গণকবরস্থানে ওই ব্যক্তির লাশ দাফন করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বিকেলে ঠান্ডা, জ্বর ও কাশি নিয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির তিন ঘণ্টার মাথায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়। ওই যুবক নড়িয়া উপজেলার মোক্তারেরচরে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। করোনা সন্দেহে মৃত্যু হওয়ায় ওই বাড়ি ও আশ পাশের পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করে ২৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। ওদিকে ওই যুবকের নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে নড়িয়া উপজেলার এক যুবকের মৃত্যু হয়। যুবকটি করোনা আক্রান্ত সন্দেহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক দাফন করা হয়েছে। মৃতকে দাফনের জন্য নড়িয়া উপজেলার চন্ডিপুর গণ কবরস্থান এলাকায় নিলে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দাফন কাজে স্বজন বা স্থানীয় কেউ উপস্থিত না হওয়ায় পুলিশ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীদের সহযোগীতায় মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা হয়। 

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুনির আহমেদ খান বলেন, ওই ব্যক্তি শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। যেহেতু তার শ্বাসকষ্ট ছিল এবং তিনি প্রবাসী-অধ্যুষিত নড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা তাই তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন সন্দেহে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। তার মৃত্যুর পর আইইডিসিআরে যোগাযোগ করা হয়। তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি অনুযায়ী লাশ দাফন করার নির্দেশ দেন। আর মাদারীপুর জেলা হাসপাতাল থেকে সরঞ্জাম এনে মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।

নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই যুবকের বাড়ি ও আশপাশের চারটি বাড়ির বাসিন্দারা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। তাদের দেখভাল করতে বলা হয়েছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে। কোয়ারেন্টিনে থাকা পরিবারগুলোর কাছে খাবারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রশাসন সরবরাহ করবে।