আজ মঙ্গলবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শরীয়তপুরে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু, মরদেহ নিয়ে পালাল স্বজনরা

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে জ্বর ও মাথাব্যথা নিয়ে নিপা আক্তার (২৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই নারীর মৃত্যু হয়। ওই নারী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কিনা সেটা নিশ্চিত করার জন্য নমুনা সংগ্রহের আগেই মরদেহ নিয়ে পালিয়ে যায় স্বজনরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: মুনির আহমেদ খান। পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেতৃত্বে পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল মৃতের বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে।

মৃত ওই নারী বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।

হাসপাতাল সুত্র জানায়  শনিবার সকাল ৯ টায় জ্বর ও মাথাব্যথা নিয়ে  ওই রোগীকে হাসপাতালের নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। তাকে সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়। ওয়ার্ডে নেয়ার পর তার (স্নায়ু) পালস না পেয়ে সেবিকারা ডাক্তারকে জানায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক পর্যবেক্ষণ করে  তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।  পরে মৃতের শরীরে করোনা ভাইরাস আছে কিনা বিষয়টি নিশ্চিত হতে কর্তৃপক্ষের নমুনা সংগ্রহের প্রস্তুতি চলা অবস্থায়  মৃতের স্বজনরা মরদেহ নিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানা যায়।

সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মনির আহমেদ বলেন, যেহেতু এখন করোনার প্রাদুর্ভাব রয়েছে এবং শরীয়তপুর একটি প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা তাই সন্দেহ এড়াতেই ওই মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহের নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে কেন এবং কিভাবে মরদেহ নিয়ে স্বজনরা পালিয়ে গেল বিষয়টি আমাকেও ভাবিয়েছে। ঘটনাটি পালং মডেল থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে একই সাথে ঊর্ধ্বতনদেরকে অবহিত করা হয়েছে।

শরীয়তপুরের সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুর রহমান শেখ বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিয়ে আমরা তার বাড়ি যাই। আমরা ওই মৃত ব্যক্তির বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিআর পাঠিয়েছি এবং নমুনার ফলাফল না আসা পর্যন্ত ওই পরিবারসহ আশপাশের বাড়িগুলোকে পুরোপুরি হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।