আজ মঙ্গলবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নড়িয়ার ঘড়িষার সেন্টাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসুতির মৃত্যু

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার বাজারে সেন্টাল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উত্তেজিত স্বজনরা ক্লীনিক ব্যাপক ভাংচুর করেছে।জানা গেছে শুক্রবার সকালে রেখা বেগম (২৫) এর মৃত্যু হয়। তিনি নড়িয়া উপজেলার চরমোহন কান্দি গ্রামের আফজাল কাজীর স্ত্রী।
এ ব্যাপারে আফজাল কাজী জানান,শুক্রবার সকালে তার প্রসূতি স্ত্রী রেখা বেগমকে নিয়ে নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার বাজারের সেন্টাল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে যান। সেখানে গিয়ে ক্লীনিকের ডাক্তার রাফায়েল মোঃ রাফীকে দেখান।তার স্ত্রীর ডেলিভারী (সিজারের) তারিখ ছিল আগামী ২৫ এপ্রিল। ডাক্তার রোগী দেখার পর বলেন আজই শুক্রবার সিজার করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শে তারা সিজারের প্রস্তুতি নেয়। এরপর আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো হয়। তাতে মা ও বাচ্চা দুজন সুস্থ আছে বলে জানান।
এবং সকাল ৮ টার দিকে তারা সিজার করতে ক্লীনিকের ওটিতে ঢোকায়। ওটিতে ঢোকানোর পূবে অজ্ঞান করান জন্য ডাক্তার একটি ইনজেকশন দেন। এর একটু পরেই রোগীর খিচুনী উঠে। এরপর অবস্থার অবনতি দেখে ডাক্তার রোগীকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। রোগীকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন তিনি অনেক আগেই মারা গেছে।
এরপর রোগীর লোকজন উত্তেজিত হয়ে ঘড়িষার সেন্ট্রাল ক্লীনিক ব্যাপক ভাংচুর করে।পরে নড়িয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থালে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনার পর ডাক্তার পলাতক রয়েছে।রোগীর স্বামী আফজাল কাজী আরো জানান, আমার স্ত্রীর ডেলিভারী তারিখ ছিল ২৫ এপ্রিল। সে আজই সিজার করানোর কথা বলে ইনজেকশন দেয়। এতে আমার স্ত্রী মারা যায়। আমি এর বিচার চাই।মারা যাওয়া রোগীর ভাই মোঃ নিজাম উদ্দিন বলেন, আমার বোন কে সিজার করার পর সে মারা যায়।তারপরও তারা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠান। ওখানে নেয়ার পর ডাক্তারা বলে রোগী আগেই মারা গেছে। আমার বোনকে তারা হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে ডাক্তার রাফায়েল মোঃ রাফী সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যয়নি।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, রেখা বেগম নামে একজন ডেলিভারী রোগীকে ঘড়িসার সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাৎক্ষনিক সিজার করানোর পরামর্শ দেয়। সিজারে ঢোকানোর পর ইনজেকশন দিলে রোগীর খিচুনী উঠে। এর কিছুক্ষন পর রোগী মারা যায়। ঘটনা শুনার পর নড়িয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ডাক্তারকে পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।