আজ শনিবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শরীয়তপুরে করোনা শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জন

জেলার সদর উপজেলা ও জাজিরা উপজেলা নতুন করে আরও ২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২৩জন। এরা হলেন নড়িয়া উপজেলায় ৯, জাজিরা উপজেলায় ৫ জন, সদর উপজেলায় ৪ জন, ডামুড্যা উপজেলায় ৩ জন ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ২ জন। এর মধ্যে নড়িয়া ও ডামুড্যা উপজেলায় ১ জন করে মোট ২জন মৃত্যু বরণ করেছেন। যারা আগে থেকেই নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন।

জেলা করোনা কন্ট্রোল রুম এর ফোকাল পার্সন ডা. মোঃ আবদুর রশিদ জানিয়েছেন প্রায় চার শতাধিক করোনা টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের সবাই ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে সংক্রমিত হয়ে জেলায় প্রবেশ করেছেন।

এদিকে ১৫ই এপ্রিল শরীয়তপুরে লকডাউন ঘোষণা করার পরও সড়ক ও নদীপথে করোনা আক্রান্ত এলাকা থেকে জেলায় প্রবেশ করেছে প্রায় তিন শতাধিক মানুষ। তাই ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ এর পর করোনার সম্ভাব্য অতি ঝুকিপুর্ণ এলাকার তালিকায় শীর্ষ রয়েছে শরীয়তপুর।

লকডাউনের বিধি নিষেধ অমান্য করে হাট-বাজার আর চায়ের দোকানেও চলছে আড্ডা। এতে জেলায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, যারা এখনো রাতের আধাঁরে অন্য জেলা থেকে আসছে তাদের হোম কোয়ারেন্টিন আমরা নিশ্চিত করছি। এছাড়া তাদের নমুনা সংগ্রহ করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমরা পাঠাচ্ছি।

শরীয়তপুর পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান বলেন, হাটবাজারে যারা অযথা জনসমাগম করছে সেখানে যখন পুলিশ যায় তখন কিন্তু সবাই চলে যায়। আবার পুলিশ চলে গেলে আবার তারা চলে আসে। আমরা অনুরোধ করছি, সবাইকে সামাজিক দায়িত্ব মেনে চলতে এতে দেশ সমাজ পরিবার সবাই নিরাপদে থাকবে।

শরীয়তপুরে এরইমধ্যে করোনা রোগীর চিকিৎসায় পাঁচটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে করোনা মোকাবিলা অসম্ভব বলে মনে করেন জেলা সিভিল সার্জন এস এম আব্দুল্লাহ আল-মুরাদ। তিনি বলেন, আমরা যেহেতু এখনো মানুষকে ঘরে রাখতে পারছি না তাই ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে যারা এসেছেন তারাই আমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনের রাখতে পারলেই আমরা নিরাপদে থাকতে পারবো।

সবাই সচেতন না হলে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জের পর শরীয়তপুরেও বিপর্যয় হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।