
শরীয়তপুরে হরিজন, মুচি সম্প্রদায়, খেটে খাওয়া শ্রমিক ও অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন পুলিশ সুপার এস. এম. আশরাফুজ্জামান। টেকসই উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না। সেই অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ নিজস্ব উদ্যোগে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় করোনা ভাইরাসের বিস্তারের কারণে চলমান সাধারণ ছুটিতে অসহায় হয়ে পড়া হরিজন, মুচি সম্প্রদায়, খেটে খাওয়া শ্রমিক ও অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে জেলা পুলিশের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন শরীয়তপুর জেলার পুলিশ সুপার এস. এম. আশরাফুজ্জামান।
সোমবার (১১ই মে) সকাল ১১:০০ ঘটিকায় পালং মডেল থানা চত্তরে শরীয়তপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে ও শরীয়তপুর জেলায় কর্মরত ২০১৭ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদানককৃত পুলিশ কনস্টেবলদের চাকরিকাল ০৩ (বৎসর) পূর্তী উপলক্ষে জেলা পুলিশের নিজস্ব অর্থায়নে দুই শতাধিক হরিজন, মুচি সম্প্রদায়, খেটে খাওয়া শ্রমিক ও অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে খাদ্য সহায়তা সামগ্রী প্রদান করা হয়। এসব সহায়তা সামগ্রীর মধ্যে ছিলো সাদা চাল, পোলাউর চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল, সেমাই ও চিনি। এ ছাড়াও করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধ, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন অপরাধের বিষয়ে তাঁদেরকে সচেতন করাসহ শরীয়তপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অসহায় দরিদ্র মানুষের প্রতি এ ধরনের সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তানভীর হায়দার শাওন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) শরীয়তপুর, মোঃ আসলাম উদ্দিন, অফিসার ইনচার্জ, পালং মডেল থানা, জনাব মোঃ আশরাফুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), পালং মডেল থানা সহ শরীয়তপুরসহ উপস্থিত জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
এমন দুর্দিনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য হরিজন, মুচি সম্প্রদায়, খেটে খাওয়া শ্রমিক ও অসহায় দরিদ্র এসব মানুষ বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।