
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ সরদার সমর্থকরা সহসভাপতি খোকা বেপারীর বাড়িতে হামলা হামলা চালানোর পরে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে বলে জানাগেছে। আহতদের গোসাইরহাট ও ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানান, মাছ ধরা নিয়ে কুচাইপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোকা বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ সরদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মোস্তাফিজ সরদারের নেতৃত্বে একদল দেশীয় অস্ত্রধারীরা খোকা বেপারীর বাড়িতে হামলা চালায়। সংবাদ পেয়ে গোসাইরহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই হামলায় খোকা বেপারীর সমর্থক মাহবুব পাটোয়ারী, বাবুল হাওলাদার ও জাকু ফকিরসহ ৮জনসহ মোস্তাফিজ সরদারের ৪ জন সমর্থক আহত হয়। আহতদের ডামুড্যা উপজেলা ও গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কুচাইপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোকা বেপারী বলেন, আমার ভাই কুচাইপট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোস্তাফিজ সরদার আমার ভাইয়ের সাথে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে পরাজিত হয়। তারপর থেকেই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে মোস্তাফিজ সরদার। গতকাল পরিকল্পিতভাবে দেড় থেকে দুই শাতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের পুরাদন বাড়িতে হামলা চালায় মোস্তাফিজ সরদার সমর্থকরা। এ হামলায় আমাদের পক্ষের ৭/৮ জন আহত হয়েছে। গোসাইরহাট থানা পুলিশ এসে আমাদের রক্ষা করেছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ সরদার বলেন, নদীতে মাছ ধরা জেলেদের মাঝে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় খোকা বেপারীর সন্ত্রাসীরা আমার লোকজনের উপর হামলা চালিয়েছে। আমরা প্রতিহত করেছি। এতে আমার সমর্থক ৪ জন আহত হয়েছে। তাদের গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গোসাইরহাট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা সোহেব আলী হুংকারকে বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও নদীতে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এই ঘটনার সাথে জাড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। কোন পক্ষ থেকে এখনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায় নাই।