
সারা বিশ্বের বর্তমান সময়ের অতিপরিচিত নাম নভেল করোনা ভাইরাস, যার সংক্ষিপ্ত নাম হলো কোভিট-১৯। এ ভাইরাস ইতিমধ্যে বিশ্বের ২১২টি দেশে আক্রমণ করেছে। করোনা ভাইরাস আক্রমণ করেছে আমাদের বাংলাদেশও। করোনার ভয়াল গ্রাসে স্থবির হয়ে পড়ছে বাংলাদেশ সহ গোটা বিশ্ব।এ রোগ যেহেতু একজন আক্রান্ত হলে সেই আক্রান্ত রোগীর স্পর্শ হতে অপরজন আক্রান্ত হয় তাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সকল কিছু। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় স্পষ্টে থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন পুলিশ, ডাক্তার, সেনাবাহিনী, সাংবাদিক সহ কয়েকটি পেশার লোক।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন শরীয়তপুর জেলা পুলিশ। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় এ ভাইরাস যখন বাংলাদেশে আক্রমণ করেছে তখন থেকেই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন শরীয়তপুর জেলা পুলিশ।করোনার ভয়াল গ্রাস হতে শরীয়তপুরের সাধারণ জনগন যাতে সুরক্ষিত থাকতে পারে সেই লক্ষে জেলা পুলিশ গ্রহন করেছে নানান পদক্ষেপ।শরীয়তপুর জেলার সাধারণ মানুষ যাতে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে পারে, সাধারণ মানুষ যাতে সচেতন হয় সেই কারনে জেলার বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেছেন, মাইকিং করে জনগনকে সচেতন করেছেন, মাক্স বিতরণ করেছেন, সচেতনতামূলক কথাগুলো সুরে সুরে তুলে ধরে মানুষকে সচেতন করতে বেশ কয়েকটি গান তৈরি করেছেন শরীয়তপুর জেলা পুলিশ। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে জেলাকে সুরক্ষিত রাখতে জেলার পরিচালিত করেছেন জীবানুনাশক স্প্রে কার্যক্রম।
এছাড়াও শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে, জনসমাগম বন্ধ করতে সর্বদা জেলায় টহল অব্যাহত রেখেছেন। পুলিশ সুপারের অফিস, জেলার বিভিন্ন থানা সহ পুলিশের সকল অফিসের প্রবেশ দ্বারে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের জন্য আইসোলেশন রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শরীয়তপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে মসজিদের ইমাম, নরসুন্দর, মুচি, হরিজন, ভিক্ষুক, ভ্যান চালক, রিক্সা চালক, ইজিবাইক চালক, বেদেপল্লী, তৃতীয় লিঙ্গ সহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শরীয়তপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ব্যক্তির মৃত্যুর পরে ইসলামী রীতি অনুযায়ী দাফন করেছেন শরীয়তপুর জেলা পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার এস. এম. আশরাফুজ্জামান বলেন, বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব করোনা মহামারীতে আক্রান্ত। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা শরীয়তপুর জেলা পুলিশ জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সর্বদা প্রস্তুত৷ করোনা ভাইরাসের আক্রমণ হতে শরীয়তপুর বাসীকে সুরক্ষিত রাখতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। জনগনকে সচেতন করতে সচেতনতা মূলক মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করেছি। জীবানুনাশক স্প্রে করেছি, মাক্স বিতরণ করেছি। বাংলাদেশের মানুষ সাংস্কৃতিক মনা মানুষ তাই সচেতনতামূলক কথাগুলো গানের সুরে সুরে তুলে ধরে কয়েকটি সচেতনতামূলক সঙ্গীত তৈরি করেছি। আমরা অসহায়দের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সাধারণ মানুষের পাশে ছিলো আছে এবং থাকবে।