
শরীয়তপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া এক শ্রমিক দম্পতি সুস্থ হয়ে উঠেছে। একই সাথে ওই দম্পতির মেয়ে ও মেয়ের ভাসুরের ছয় বছরের ছেলে সুস্থ হয়েছে। সোমবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় তাদের সুস্থ্য ঘোষনা করে।
করোনাজয়ী ওই দম্পতি সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নের টুমচর হিন্দু পাড়া গ্রামের বাসিন্দা । তারা পরিবার নিয়ে নারায়ণগঞ্জ দেওভোগ বড়দিঘি এলাকায় ভাড়া থাকেন। সেখানে কাঠমিস্ত্রীর কাজ করেন। গত ১০ এপ্রিল পরিবারসহ নারায়ণগঞ্জ থেকে ট্রাকে চেপে শরীয়তপুরের টুমচর হিন্দু পাড়া নিজ বাড়িতে ফিরেন তারা। সন্দেহ হলে ১১ এপ্রিল ওই দম্পতিসহ তাদের মেয়ের নমুনা সংগ্রহ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। পরে তাদের করোনা পজেটিভ আসে। ১৪ দিন নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর পুনরায় ২৫ এপ্রিল নমুনা সংগ্রহ করলে তাদের করোনা ফলাফল নেগেটিভ আসে। ২৫ এপ্রিলই তাদের মেয়ের ভাসুরের সাড়ে ছয় বছরের ছেলের নমুনা সংগ্রহ করা হয় । সেই পরীক্ষায় শিশুটির করোনা পজেটিভ আসে। আবার ১৪ দিন পর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের সকলের করোনা ফলাফল নেগেটিভ আসে।
ওই শ্রমিক দম্পতি বলেন, আমরা সুস্থ ছিলাম। নারায়ণগঞ্জ থেকে শরীয়তপুরে আসার পর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আমাদের নমুনা সংগ্রহ করে নেন। পরীক্ষার পর জানতে পারি আমাদের করোনা হয়েছে। তারপর থেকে সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকতাম। এত কিছুর মাঝেও মনোবল হারাইনি আমরা। গরম পানি, গরম চা ও লেবুর সরবত পান করতাম । এরপর ধীরে ধীরে সুস্থ হলাম।
আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। ঘরে থেকেই করোনা জয় করুন। কারণ ঘরে বসেই করোনা জয় সম্ভব বলে জানান তারা।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৪ মে) নতুন করে ১ চিকিৎসক সহ ৫ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে জেলায়। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাড়ালো ৬৬ জনে। নতুন করে ৬ জন সহ মোট সুস্থ্য ১৪ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ৩ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১৬৮৫ জনের নমুনা সংগৃহীত হয়েছে এবং ১৪৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এসেছে।