
সড়কের পাশে মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগলী) এক নারীর (২৫) প্রসব বেদনা উঠলে স্থানীয় প্রশাসন তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। শনিবার (১৬ মে) দিবাগত রাত ১১টা ২০ মিনিটের সময় ওই হাসপাতালে তার একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। এতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী তার নাম চায়না আক্তার বলে জানিয়েছেন। তবে তিনি ঠিকানা বলতে পারছেন না।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়ন্তী রূপা রায় জানান, (১৬ মে) শনিবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে নড়িয়া উপজেলা ভোজেশ্বর বাজার সংলগ্ন নড়িয়া-শরীয়তপুর সদর সড়কে ভারসাম্যহীন এক প্রসূতি নারী অসুস্থ হয়ে পরেছেন বলে মুঠোফোনে স্থানীয়রা জানান তাকে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, ভোজেশ্বর ফাঁড়ির পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অসুস্থ ওই নারীকে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মাতৃসদন নামে (ভোজেশ্বর) একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। কিন্তু সেখানে ওই নারীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, ওই নারী শনিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটের সময় সদর হাসপাতালে ফুটফুটে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। ওই নারী ও তার মেয়ে দুজনই সুস্থ আছেন। আমরা তাদের সব সময় খোঁজ খবর রাখছি। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়কের তত্বাবধানে তাদের চিকিৎসা চলেছে।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার তাপস বিশ্বাস জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর ঔষধ, পরীক্ষাসহ যাবতীয় খরচ আমরা বহন করবো। গাজিপুর কাশিমপুর সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রের পরিচালকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সম্পূর্ণ সুস্থ হলে তাদের মা ও মেয়েকে সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। যেহেতু ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন তার পরিচয় বলতে পারছেন না।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মুনীর আহমেদ খান বলেন, ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী ও তার মেয়ে সদর হাসপাতালে আমাদের তত্বাবধানে আছে। তাদের চিকিৎসা পত্র দেয়া হচ্ছে। দুজনই সুস্থ আছেন। ওই নারী তার মেয়ের নাম রেখেছেন সিনথিয়া।