
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে নয় বছরের এক শিশুর স্পর্শকাতর স্থানে সুতা বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার রিপন মুন্সী (৪৫) ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম (৩৫) উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের কাজলকোর্ট গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এজন্য তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ২৩ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে টিভি দেখার কথা বলে শিশুটিকে ডেকে নেন রিপন ও শেফালী। পরে তাদের ঘরে নিয়ে শিশুটির স্পর্শকাতর স্থানে সুতা বেঁধে নির্যাতন করা হয়।
এ সময় শিশুটিকে মেরে ফেলার ভয় দেখান তারা। ফলে কাউকে বিষয়টি জানায়নি শিশুটি। ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটির স্পর্শকাতর স্থান ফুলে ব্যথা শুরু হলে বিষয়টি তার বোনকে জানায়। পরে শিশুটিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় পরিবার।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার (১০ জুন) রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ভেদরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে রিপন ও শেফালীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শিশুটির বাবা জানান, রিপন মুন্সী আমার চাচাতো ভাই। তার সঙ্গে আমাদের পারিবারিক বিবাদ আছে। এ কারণে আমার সন্তানের সঙ্গে এমন করেছে তারা। আমি ভাবতে পারিনি এমন করবে। আমি তাদের বিচার চাই।
ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।