
শরীয়তপুর পৌরসভায় নমুনা দেওয়ার ৮ দিন পর একজন কাউন্সিলর জানতে পারলেন তিনি করোনা পজেটিভ। শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন অফিস বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ওই কাউন্সিলর বলেন, আমার বাড়ি শরীয়তপুর পৌরসভার শান্তিনগর গ্রামে। আমি বাংলাদেশ পৌরসভা সমিতি (ম্যাব) সদস্য ও সদর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। তিনি বলেন, আমার ঠান্ডা জ্বর, গলাব্যথা ও কাঁশি ছিল। পরে সন্দেহ হলে গত ১৭ জুন আমি নমুনা দেই। রিপোর্ট আসতে ৮ দিন সময় লেগেছে। গত ২৫ জুন স্বাস্থ্য বিভাগ আমাকে ফোন করে জানায়, আমি কোভিড-১৯ রোগী। তাই আমি বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাউনে আছি এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছি। অসুস্থ হওয়ার পর থেকে গরম পানি, গরম চা, ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাচ্ছি। পাশাপাশি গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করছি। এখন আমি সুস্থ বোধ করছি।
অন্যদিকে, নমুনা দেওয়ার ৯ দিন পর একজন পল্লী চিকিৎসক জানতে পারলেন তিনিও করোনা পজেটিভ। পল্লী চিকিৎসক বলেন, আমার বাড়ি শরীয়তপুর পৌরসভার স্বর্ণঘোষ গ্রামে। আমার কোন উপসর্গ নেই । গত ২১ জুন আমি নমুনা দেই। রিপোর্ট আসতে ৯ দিন সময় লেগেছে। গত ৩০ জুন স্বাস্থ্য বিভাগ আমাকে ফোন করে জানায়, আমি কোভিড-১৯ রোগী। এছাড়া আমাদের গ্রামের আরও একজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তারও রিপোর্ট আসছে ৯ দিন পর।
করোনা পজিটিভ অনেকেই জানায়, জেলায় যাদের নমুনা পরিক্ষা করা হচ্ছে তাদের রিপোর্ট ৮ থেকে ১৩ দিন পর আসে। এতোদিন পর রিপোর্ট আসলে করোনাতো ছড়াবেই।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আবদুর রশিদ বলেন, প্রথমদিকে নমুনা সংগ্রহর পর ২ থেকে ৩ দিনেই আমরা রিপোর্ট পেয়ে যেতাম। কিন্তু এখন ল্যাবের সমস্যার কারণে দেরি হয়। যাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয় তাদের জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য বলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২৪ ঘন্টায় ৪৭জন করোনা পজিটিভ এসেছে। শরীয়তপুর জেলায় এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৬২৮। সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন ২৮০জন। মারা গেছেন পাঁচজন।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির কাজ থেকে যেন সংক্রমণ না ছড়ায় তার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সংক্রমণ ব্যক্তিদের জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া করোনা সংক্রমণ রোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসন। শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আলাদা করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।