আজ সোমবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে লুটপাত-দূর্নীতি আর বিরোধী দলে থাকলে করে আগুন সন্ত্রাস : এনামুল হক শামীম

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও সরকারের সমালোচনাই বিএনপির একমাত্র কাজ, এটা তাদের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। অথচ জনগণের পাশে তাদের পাওয়া যায় না। করোনা সংকট নয়, কোন দুর্যোগেই বিএনপি মানুষের পাশে থাকে না। ক্ষমতায় থাকলে লুটপাত-দূর্নীতি আর বিরোধী দলে থাকলে আগুন সন্ত্রাস করে। আর মানবতার জননী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। মানুষের কল্যানই আওয়ামী লীগের রাজনীতি। মানবসেবাই বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রধান ব্রত। এজন্যই বাংলাদেশের মানুষ অতীতের মতোই ভব্যিষতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থাশীল থাকবে এবং দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে। বুধবার (১৫ জুলাই) শরীয়তপুরের জাজিরা-নড়িয়া-সুরেশ্বর সড়কের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন একেএম এনামুল হক শামীম এমপি। এছাড়া নড়িয়া উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় যোগদান, মসজিদ, মন্দির ও স্কুল সমূহকে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল হতে অনুদান ও ঐচ্ছিক তহবিলের অর্থ প্রদান এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এর আগে জাজিরা-নড়িয়া ডান তীর রক্ষা বাঁধের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন উপমন্ত্রী। এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, তোফায়েল আহমেদ, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দেসহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এনামুল হক শামীম বলেন, করোনা দূযোর্গের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে হাজার হাজার শ্রমিক দিয়ে নদী ভাঙন এলাকা ও বন্যার্ত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সরকারের মন্ত্রীরা এবং দলীয় নেতাকর্মীরা সবোর্চ্চ ঝুকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বিএনপি বন্যাসহ কোন দুযোর্গে মানুষের পাশে থাকেনি। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক এ সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) মানবতার জননী । তিনি ১২ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়েছেন, তারা কেউ না খেয়ে থাকেননি। বাংলাদেশের একটি মানুষ না খেয়ে থাকুক, তিনি সেটা চান না। করোনা দুযোর্গে বাংলাদেশেও কোথাও একটি মানুষ না খেয়ে থাকার খবর মেলেনি। আমার নির্বাচনি এলাকার ২৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৫ টি চরদূর্গম এলাকা, সেখানে প্রশাসন এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেবকলীগের নেতাকর্মীরা দিনরাত কাজ করছেন। ইমাম, মুয়াজ্জিন, জেলে-তাঁতী, বেদে মুচি এমন শ্রেনী পেশার মানুষ নেই, যারা নেত্রী দেয়া সহায়তা পাননি। বন্যা পরিস্থিতিতে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সার্বক্ষনিক খোঁজখবর নিচ্ছেন। আমরা বন্যা পরিস্থিতি নজরদারি করছি। মন্ত্রণালয় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্বক্ষনিক মনিটরিং সেল চালু করা হয়েছে। কোথাও বন্যা হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাতে কমিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে সকলকে প্রস্তুতি বলা হয়েছে।