
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে আছেন বাংলদেশের মানুষের ত্রাণের কোন সংকট হবেনা।প্রধানমন্ত্রী সারাজীবন তার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আর্দশে বাংলা ও বাঙ্গালীর সুখের জন্য তার সুখ বিষর্জন দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে কোন দূর্যোগে আপনাদের পাশে আছেন। তারই নির্দেশে দেশের এই দূর্যোগ মুহুর্তেও তার কর্মী হিসেবে আমরা আপনাদের পাশে আছি।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী আরো বলেন, মানুষের দুর্দিনে আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সকল সংগঠনের নেতা কর্মীরা আমাদের নেত্রীর আহবানে সারা দিয়ে করোনার পাশাপাশি বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
২৭ জুলাই সোমবার শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বন্যা দূর্গত এলাকা পরির্দশন, দূর্গতদের মাঝে তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত আশ্রাফুনেছা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শাড়ী-লুঙ্গি ও ত্রান সামগ্রী বিতরণ কালে এ কথা বলেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী। এর পূর্বে উপমন্ত্রী ১১ কোটি, ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সুরেশ্বর-গোসাইরহাট ভায়া ভেদরগঞ্জ-ডামুড্যা সড়কের পুণ:নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। মন্ত্রী নড়িয়া উপজেলার নড়িয়া, কেদারপুর ঘড়িষার ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে ত্রাণ বিতরণ করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়ন্তী রূপা রায়, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, নড়িয়া পৌরসভা মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী, আওয়ামীলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম চুন্নু, কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাফেজুর রহমান, ঘড়িষার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রব খান, ফজলুল হক মালৎ সহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ।
উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, করোনা দূর্যোগের মধ্যে নতুন করে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যার মাঝেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারের মন্ত্রী এবং দলীয় নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ ঝুকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা মানবতার জননী তার আমলে কেউ না খেয়ে থাকেননি। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের কোন মানুষ না খেয়ে থাকুক, তিনি সেটা চান না। করোনা দুযোর্গে বাংলাদেশে কোথাও কেউ না খেয়ে থাকেনি। ইনশাল্লাহ বন্যায়ও কেউ না খেয়ে থাকবেনা।
বন্যা পরিস্থিতিতে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সার্বক্ষনিক সকল বিষয় খোঁজ খবর নিচ্ছেন। আমরা বন্যা পরিস্থিতি নজরদারি করছি। মন্ত্রণালয় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্বক্ষনিক মনিটরিং সেল চালু করা হয়েছে। কোথাও বন্যা হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান যাতে কমিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে সকলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। শরীয়তপুর জেলার জন্য ২৯৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।