
শরীয়তপুর সদর আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয়ের ছাদের আংশিক ধ্বস দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি শনিবার অফিসের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পর থেকে রোববার সকালে অফিস খোলার পূর্বে যে কোন সময় ঘটায় কোন হতাহত হয় নাই। ভবনটি পুরনো এবং ভবনের পাশর্^বর্তী ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ১২ তলা ভবনের পাইল বোরিং কার্যক্রমের কারণে এই ভবনে ধ্বস ধরেছে বলে হাসপাতাল স্টাফদের দাবী।
শরীয়তপুর আধুনিক সদর হাসপাতাল অফিস সূত্র জানায়, ১৯৮৫ সালের ১৬ মার্চ ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ১০০ শয্যা হাসপাতালের তৃতীয় তলা ভবন নির্মাণ শেষে ১৯৯০ সালের ২ ফেব্রুয়ারী ভবনের কার্যত্রম উদ্বোধন করে। ভবনটি দীর্ঘ ৩০ বছরের বেশী সময়ের পুরনো হওয়ায় সকল ক্ষেত্রে জরাজীর্ন হয়ে পড়েছে। ইদানিং এই ভবনের পাশর্^বর্তী অপর একটি ২৫০ শয্যার ১২তল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সেই ভবনের পাইল স্থাপনের সময় পুরনো এই ভবনটিতে কাপনি শুরু হয়। বর্তমানে পুরো ভবনে ফাটল ধরেছে। হয়তো পাইলিং বোরিং এর কারণে ছাদে এই ধ্বস ধরেছে বলে ধারণা করছে হাসপাতাল স্টাফবৃন্দ।
তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনীর আহমদ খান এর সহকারী জানায়, শনিবার বিকালে অফিস বন্ধ করার সময় সব ঠিকঠাক ছিল। রোববার সকালে যখন অফিস খুলি তখন দেখি ছাদের পলেসতারা একটা বড় অংশ মেঝেতে পড়ে আছে। তার অনেক অংশ স্যারের টেবিলে পড়ায় টেবিলের এক অংশ ভেঙ্গে গেছে। অফিস চলাকালে এই ঘটনা ঘটলে হয়তো অনেক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত।
হাসপাতালের প্রধান সহকারী বজলুর রশিদ জানায়, পুরো ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ। এমন সমস্যা সকল কক্ষেই রয়েছে। ভবনে ইদানিং একটু বেশী ফাটল ধরেছে। নতুন ভবনের পাইলিং বোরিং করার সময় পুরাতন ভবনে কম্পন সৃষ্টি হয়। সেই কারণে ভবনে ফাটল ধরেছে বলে আমরা মনে করছি।
এই বিষয়ে ডা. মুনীর আহমেদ খান বলেন, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এসে ভবন দেখে গেছে। তিনি জানিয়েছেন ছাদ ভেঙ্গে নতুন করে ছাদ দিতে হবে। আপাতত আমার বাসভবনের সামনের কক্ষটি অফিস হিসেবে ব্যবহার করছি।