আজ বৃহস্পতিবার, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

পদ্মা সেতুতে ৩২তম স্প্যান দৃশ্যমান

নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে প্রথম দিন ১০ অক্টোবর শনিবার বসানো সম্ভব না হলেও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের প্রচেষ্টায় দ্বিতীয় দিনে পদ্মা সেতুতে বসানো হয়েছে ৩২তম স্প্যান।
রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ৪ ও ৫ নং পিলারের স্প্যানটি বসানোর কাজ শেষ হয়। এর মধ্যে দিয়ে দেশের দীর্ঘতম এই সেতুর ৪৮০০ মিটার দৃশ্যমান হলো।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো: আব্দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল স্প্যান বসানোর প্রস্তুতি থাকলেও তীব্র স্রোতের কারণে স্প্যানবাহী ক্রেন পিলারের কাছে নোঙর করতে না পারায় বসানো যায়নি স্প্যানটি।
সেতু সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী সূত্র ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গতকাল শনিবার স্প্যানটি বসানোর পূর্বপ্রস্তুতি অনুযায়ী সকারে কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই এর মাধ্যমে পিলারের অনেক কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হয়। তবে নদীতে স্রোতের কারণে বিকাল পর্যন্ত চেষ্টা করেও শেষ অবদি বসানো যায়নি স্প্যানটি। পরে ক্রেনটিকে আরও কিছুটা দূরে নদীতে নোঙর করে রাখা হয়। রোববার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে পুনরায় স্প্যান বসানোর কাজ করা শুরু হয়। এরপর ক্রেনটিকে নির্ধারিত স্থানে এনে প্রকৌশলীদের মাপযোগ শেষে ধীরে ধীরে ইঞ্চিমেপে নির্ধারিত পিলারের ভূমিকম্প সহনশীল বিয়ারিংয়ের উপর স্প্যানটি বসানো হয়। সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে শুরু হওয়া স্প্যানটি বসানোর পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগে তিন ঘন্টার মতো।
স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে পুরো সেতুতে বাকি রইলো আর মাত্র ৯টি স্প্যান বসানোর কাজ। যেগুলো সবগুলোই মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১-২, ২-৩, ৩-৪, ৭-৮, ৮-৯, ৯-১০,-১০-১১,১১-১২,১২-১৩ নং পিলারের বসানো হবে। সেতুর জাজিরা প্রান্তে সবগুলো স্প্যানের এর মধ্যেই বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ১০ জুন পদ্মা সেতুতে সর্বশেষ বসানো হয়েছিল ৩১তম স্প্যান। করোনা আর বন্যা পরিস্থিতির কবলে সেতুর অন্যান্য কাজ চললেও এরপর আর কোনো স্প্যান বসানো হয়নি। সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮১ ভাগেরও বেশি এবং মূল সেতুর প্রায় ৯০ ভাগ করা শেষ হয়েছে।
সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়, আরো তিনটি স্প্যান ‘ওয়ান-এ’ ‘ওয়ান-বি’ ‘ওয়ান-সি’ সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। পরবর্তী ৪টি স্প্যান পিলার ১-২,২-৩, ৩-৪ নম্বর পিলারে বসানো হবে। আর ডিসেম্বরে বাকি ৯টি স্প্যান পিলারের উপর বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।