
পুলিশ ও র্যাব পৃথক অভিযান চালিয়ে জেলার ডামুড্যা পৌরসভার কিশোরী কাজল হত্যা মামলার মূল আসামী সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। ডামুড্যা থানা পুলিশ প্রধান আসামী বাবু চৌকিদার কে (১৮), র্যাব-৮ জুয়েল খান (১৮) নামের অপর আসামীকে গ্রেফতার করেছে ।
আটককৃত ডামুড্যা উপজেলার বড় নওগাঁ গ্রামের তাজুল চৌকিদারের ছেলে বাবু চৌকিদার ও জুয়েল খান মোঃ আলী আজগর খানের ছেলে।
জেলার ডামুড্যা পৌরসভায় কিশোরী কাজল হত্যা মামলার আসামী জুয়েল খানকে (১৮) গ্রেফতার করে র্যাব-৮। আটককৃত জুয়েল খান উপজেলার বড় নওগাঁ গ্রামের মোঃ আলী আজগর খানের ছেলে। ২৫ অক্টোবর দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৮ অভিযান চালিয়ে ডামুড্যা উপজেলা থেকে আসামী জুয়েলকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ জুয়েল খান সহ আরও ২-৩ জনসহ কাজল আক্তারকে ধর্ষণপূর্বক নির্মমভাবে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে লাশ খালে ফেলে দেয়ে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। অপরদিকে ডামুড্যা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী বাবু চৌকিদার কে গ্রেফতার করেছে।
ডামুড্যা থানা সূত্র জানান, গত ২১ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ডামুড্যা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কুলকুড়ি এলাকার আলাউদ্দিন ছৈয়ালের মেয়ে কাজল আক্তার (১৫) কে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে বাড়ির পিছনে খালে ফেলে রেখে চলে যায়। এ ব্যাপারে ডামুড্যা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, কুলকুিড় গ্রামের শ্রমজীবী আলাউদ্দিন ছৈয়ালের পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে। কাজল আক্তার তার চতুর্থ সন্তান। বুধবার রাতে প্রতিদিনের মতো পাশের ঘরে টিভি দেখতে যাওয়ার জন্য বের হয় কাজল। পরে আর ঘরে ফেরেনি। রাতে ঘরে না ফেরায় পরিবারের লোকজন প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন যায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা বাড়ির পাশের খালে লাশ দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেন।
ডামুড্যা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মেহেদী হাসান বিপিএম বলেন, কাজল হত্যার মামলার মূল আসামী বাবু চৌকিদারকে রবিবার দুপুরে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।