আজ বৃহস্পতিবার, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

এইডস প্রতিরোধে ধর্মীয় অনুশাসনের বিকল্প নেই: জেলা প্রশাসক

এইডস এমন এক রোগ মৃত্যুই যার শেষ পরিনতি। এ রোগের এখনো কোন ঔষধ আবিস্কার হয়নি। তবে আমরা ধর্মীয় অনুশাসন মানলে এ রোগকে প্রতিরোধ করতে পারি। মনে রাখবেন এইডস রোগ থেকে বাঁচার জন্য ধর্মীয় অনুশাসন অবশ্যই মানতে হবে। কারণ কোন ধর্মই অবাধ যৌনাচারকে সমর্থন করেনা। জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান ১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিশ্ব এইডস দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে ‘সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নিব দায়িত্ব।’ এই স্লোগানে সারাদেশের মতো শরীয়তপুর জেলায়ও বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ এসএম আবদুল্লাহ আল মুরাদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার এস.এম আশরাফুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, শরীয়তপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সোবহান, জেলা বিএম এর সভাপতি ডাঃ মনিরুল ইসলাম। জেলা স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাবুবার রহমানের সঞ্চালনা স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ে মেডিকেল অফিসার ডাঃ সৈয়দ শাহিনুর নাজিয়া।
সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডাঃ এস.এম আবদুল্লাহ আল মুরাদ এইডস আক্রান্ত জনগোষ্ঠী নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে কুসংস্কার, ভ্রান্তধারণা ও বৈষম্য আছে তা দূর করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এইচআইভি তিনটি পদ্ধতিতে মানুষের শরীরে ছড়ায়। এই তিনটির বাইরে কোনো পদ্ধতি নেই। দুজন মানুষের শারীরিক মিলনের মাধ্যমে। ইনজেকশনের মাধ্যমে হতে পারে, ইনজেকশন যদি শেয়ার করে বা রক্ত দেয়ার মাধ্যমে হতে পারে। মায়ের থেকে সন্তানের হতে পারে। মা যদি এইচআইভি পজিটিভ হয়, তখন এটি হতে পারে, তাও এর সম্ভাবনা খুব কম। ১০০ ভাগের এক ভাগও নয়। দশমিক পাঁচ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে। এই দশমিক পাঁচ শতাংশের মধ্যে পড়ে গেলে সন্তানও এইচআইভি পজিটিভ হতে পারে। এছাড়া শিরায় মাদক গ্রহণকারী, যৌনকর্মী, সমকামী ও হিজড়াদের মধ্যে সংক্রমণের হার বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোলের সর্বশেষ ২০১৯ সালের তথ্যমতে দেশে বর্তমানে এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। এসব রোগীর মধ্যে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়ে চিকিৎসার আওতায় এসেছে মাত্র ৭ হাজার ৩৭৪ জন। এখনও শনাক্তের বাইরে রয়ে গেছে প্রায় ৭ হাজার। এদের মধ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আছে ১০৫ জন।
২০১৯ সালে নতুন করে ৯১৯ জন মানুষের শরীরে পজিটিভ এসেছে। আর এ বছর এইডসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭০ জন। তবে আশার কথা হচ্ছে আল্লাহর রহমতে শরীয়তপুর জেলায় এখনো কোন রোগী শনাক্ত হয়নি।
এর পরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে শেষ।