
গাড়ি সিরিয়ালে রাখাকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরে বাস মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে থানা পুলিশের কর্মকর্তাসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শরীয়তপুর নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত পালং মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির, শ্রমিক নিজাম, মনির তালুকদার, রাজু, জাকির, মোশারফ তালুকদারের নাম জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সাড়ে ১১টার দিকে শরীয়তপুর নতুন বাসস্ট্যান্ডে জেলা বাস মালিক সমিতির সদস্য নাসির বেপারী ও আন্তঃজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুমন তালুকদারের মধ্যে বাস সিরিয়ালে রাখা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এতে মালিক-শ্রমিকরা ইট-পাটকেল ও লাঠি-সোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় ৪টি বাস ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে পালং মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবিরসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
গুরুতর অবস্থায় হুমায়ুন কবিরকে প্রথমে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ ছিল।
শরীয়তপুরে বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বাচ্চু বেপারী বলেন, আন্তঃজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা এ সংঘর্ষ বাধায়। আমরা বাস চলাচল বন্ধ করিনি। শ্রমিকরা বাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেছে। আমাদের মালিক সমিতির সিদ্ধান্ত আমরা বাস চালাব।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। এ ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ওসি বলেন, সংঘর্ষে পালং মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত কবিরকে প্রথমে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে পাঠায়। – সুত্রঃ জাগো নিউজ