আজ বৃহস্পতিবার, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নড়িয়ায় এক রাতে ৫টি বাড়িতে দুধর্ষ ডাকাতি, আহত-৩

নড়িয়ার মোক্তারের চর ইউনিয়নের চেরাগ আলী মাদবর কান্দি গ্রামে ঘরের দরজা ভেঙ্গে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক রাতে ৫ বাড়ীতে ডাকাতী করেছে ৪০-৫০ জনের মুখোশধারী স্বসস্ত্র ডাকাতদল।  ডাকাতরা ৫টি বাড়ী থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা, ৫০ ভরি স্বর্নালংকার ও ১৩টি মোবাইল ফোন ডাকাতি করে নিয়ে যায় বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজন।

এ সময় ডাকাতদের ছোড়া ককটেলে আঘাতে ৩জন আহত হয়েছে।  আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয় হয়েছে।  এ ঘটনা পরবর্তী এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। ডাকাতদের সনাক্ত করার চেস্টা ও মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ক্ষতিগ্রস্থ ইউনুছ মাদবর ও নড়িয়া থানা সুত্রে জানাগেছে, মঙ্গলবার রাত পৌনে ২টার সময় শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার পদ্মা নদীর পাড় সংলগ্ন চেরাগ আলী মাদবর কান্দি গ্রামে ৪০-৫০ জন মুখোশধারী স্বসস্ত্র ডাকাত দল এসে প্রথমে কাসেম মাদবরের ঘরের দরজা ভেঙ্গে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে হাত-পা ও চোখ বেধে ফেলে। এ সময় কাসেম মাদবর বাড়ীতে না থাকায় তাকে খোজাখজি করে ডাকাতদল।

একই ভাবে পার্শ¦বর্তী মনির মাদবর, ইউনুছ মাদবর, সোবহান মাদবর, লতিফ মাদবর ও মোহাম্মদ আলী মাদবরের ঘরে প্রবেশ করে ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।

এ সময় ইউনুছ মাদবরের স্ত্রী পিছনের জানালা দিয়ে বের হয়ে পাশবর্তী সায়েদ বেপারীকে বিষয়টি জানায়। পড়ে মোবাইল ফোনে পাশ্ববর্তী গ্রামের লোকজনকে সংবা দেয়া হয় এবং মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে ঘোষনা দেয়া হয়। স্থানীয় লোকজন শোরচিৎকার করে এগিয়ে গেলে ডাকাতরা ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে ও গুলি ছুড়তে ছুরতে পদ্মা পাড়ে থাকা স্পীট বোর্ড দিয়ে পালিয়ে যায়।

ডাকাতদের ছোড়া ককটেল বোমার আঘাতে বিমালা বেগম, মাস্টার হামিদ ফকির ও মামুন মাদবর নামের ৩জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এর আগেই ডাকাতদল কাসেম মাদবরের ঘর থেকে ১ লাখ টাকা, ২০ ভরি স্বর্নালংকার, ইউনুছ মাদবরের ঘর থেকে ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা, ১৩ ভরি স্বর্নালংকার ৬টি মোবাইল ফোন, মান্নান মাদবরের ঘর থেকে ৮০ হাজার টাকা, ৪ ভরি স্বর্নালংকার, ৭টি মোবাইল ফোন, লতিফ মাদবরের ঘর থেকে ১১ ভরি স্বর্নালংকার ও মোহাম্মদ আলী মাদবরের ঘর থেকে ভরি স্বর্নালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্থ কাসেম মাদবর বলেন, রাত পৌনে ২টার দিকে স্বসস্ত্র ডাকাত দল আমাদের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে প্রতিটি ঘরের লোকজনদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা ও চোখ বেধে ডাকাতী করে।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম উদ্দিন বলেন, নৌ পথে একদল ডাকাত এসে ৪/৫টি বাড়ীতে ডাকাতী করে নগদ টাকা ও বেশ কিছু স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমরা সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি ককটেল উদ্ধার করি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি ও ডাকাতদরে সনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।  সুত্রঃ নিউজ-অব-বাংলাদেশ