
পদ্মা নদীর ভাঙনের হাত থেকে শরীয়তপুরের নড়িয়া-জাজিরা উপজেলাকে বাঁচাতে বেড়িবাঁধ ও নদী শাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে ৭ ঘণ্টা গণঅনশন করেছেন নদীভাঙন কবলিত এলাকাবাসী।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) নড়িয়া উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই গণঅনশন পালন করেন তারা।
পরে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হোসাইন খান গণঅনশন স্থলে পৌঁছে ভাঙনকবলিত এলাকাসীকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ১ হাজার ২২২ কোটি টাকার একনেক প্রকল্পটি পাস হবে। আর প্রকল্পটি পাস হলেই এই শীতে জাজিরা-নড়িয়া উপজেলার পদ্মা নদীর ভাঙনকবলিত এরিয়ায় বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হবে।
শরীয়তপুর জেলা বার কাউন্সিলের সভাপতি এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, নড়িয়া-জাজিরা উপজেলা বহু বছর ধরে পদ্মা নদীর ভাঙনের ফলে দুটি উপজেলা শরীয়তপুর জেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। শত শত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। আমরা ভাঙনকবলিত এলাকাবাসী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে বহুবার মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, আলোচনাসভা, পথসভা করেছি। কিন্তু সরকার আমাদের ভাঙনকবলিত এলাকার জন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তাই এলাকাবাসী সারাদিন না থেয়ে গণঅনশন করেছে। আমরা সরকারের কাছে কিছু চাই না, শুধু বাঁধ নির্মাণ চাই।
এ সময় নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন, জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেলা রহমত উল্লাহ, নড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুল খালেক, শরীয়তপুর জেলা বার কাউন্সিলের সভাপতি এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, এডভোকেট আবদুল খালেক, নড়িয়া পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ি, নড়িয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার ওবায়দুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার দিদারুল ইসলাম, কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বাশার দেওয়ান ও ইমাম হোসেন দেওয়ান, নড়িয়া পৌর আ. লীগের সভাপতি দুলাল বেপারী, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ডি এম বরকত আলী মুরাদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রান ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক সেকান্দার আলম রিন্টু, নড়িয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন আকন, উপজেলা যুবলীগের সদস্য হুমায়ুন কবির খালাসী, নড়িয়া পৌরবাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আঃ জলিল শেখ, মাষ্টার সাইদুল হক মুন্না সহ নড়িয়া ও জাজিরার নদী ভাঙনকবলিত এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।