আজ শনিবার, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শরীয়তপুরে ঊর্ধ্বমুখী আদা ও পেঁয়াজের দাম, সবজির দাম বাড়ছে পাল্লা দিয়ে

শরীয়তপুরে সপ্তাহের ব্যাবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অন্যান্য সবজির দাম। অন্যদিকে দামের দৌড়ে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে চায়না আদার কেজি ৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫০ টাকা।

৫ নভেম্বর রোববার শরীয়তপুর জেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা মিলেছে এমন চিত্র। জেলার আংগারিয়া বাজার, পালং বাজার, নড়িয়া বাজার, ভোজেশ্বরের কাঁচা বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজ, চায়না আদা, শাক-সবজি, শশা, হাঁস ও মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে (সাইজ ভেদে) ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬২ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, চায়না আদা ১৫০ টাকা এবং দেশি আদা ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
শরীয়তপুর পৌরসভার সামনে খুচরা বিক্রেতা সিদ্দিক মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমাদেরও কেনা বেশি দামে। এক পাল্লা (৫ কেজি) আমাদের কিনতে হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকায়, তাই আমাদের প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর গত এক মাস আগে চায়না আদা বিক্রি করেছি ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি, আর আজকে আদার কেজি ১৫০ টাকা।

দাম বাড়া প্রসঙ্গে কথা হয় পালং বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী মোতাহার কোতোয়ালের সঙ্গে। তিনি বলেন, চলতি বছর বন্যায় দেশে উৎপাদিত পণ্যের ঘাটতি হয়েছে অনেক বেশি। তাই আমদানি পণ্যের দাম বাড়তির দিকে, কারণ আমদানি নির্ভর বাজারে ঘাটতি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। বাজারে গত সপ্তাহের চেয়ে কিছু সবজির দাম বেড়েছে। শশা গত দুই দিনের ব্যবধানে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি।

এ ছাড়া বগুড়ার লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, নতুন আলু মান ভেদে ১০০ থেকে ১১০ টাকা, কচুর আঁটি ৩০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, মুলা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, টমেটো ১১০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, চিচিংগা ৬০ টাকা, ফুলকপি ছোট সাইজ (পিস) ৩০ টাকা, বাঁধা কপি ৩০ টাকা (পিস), সিম ১৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ২৫ টাকা ও ধনিয়া পাতা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে।

এদিকে চালের খুচরা বাজারে কেজি প্রতি তিন থেকে চার টাকা কমেছে, এতে অনেকটা স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। পারি স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি ৪৬ টাকা দরে, লতা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা কেজি দরে, গুটি স্বর্ণা ৪৬ টাকা ও মিনিকেট চাল (মানভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজি দরে। ডিমের বাজারে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে হাঁসের ডিমে প্রতি হালিতে বেড়েছে আট টাকা, বাজারে লাল ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, সাদা ডিম হালি ২৮ টাকা, দেশি মুরগির ডিম হালি ৪০ টাকা ও হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা হালি।

এ ব্যাপারে পালং বাজারে সবজি ক্রয় করতে আসা জাবেদ শেখ, আবদুল বারেক এবং শাহনাজ মুকুল বলেন, অন্যান্য জিনিসপত্রের তুলনায় পেঁয়াজের দাম অনেক বেড়েছে। তবে চালের দাম কিছুটা কমেছে।