আজ রবিবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

পদ্মার দক্ষিণ তীর জুড়ে বেড়িবাধ নির্মানের দাবীতে স্মারকলিপি

শরীয়তপুরের জা‌জিরা-ন‌ড়িয়া পদ্মা নদীর ডানতীর সুরক্ষা প্রকল্প বে‌ড়িবাঁধ নির্মাণ বাস্তবায়‌নের দাবী‌তে বি‌ক্ষোভ সমা‌বেশ ও স্মারক‌লি‌পি প্রদান ক‌রে‌ছেন ভাগন কব‌লিত এলাকাবাসী, বাংলা‌দেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ও জা‌গো শরীয়তপুর।

মঙ্গলবার (৫ ডি‌সেম্বর) সা‌ড়ে ১১ টার দি‌কে শরীয়তপুর পৌরসভার চৌরঙ্গীর মোড় থে‌কে এক‌টি বি‌ক্ষোভ মি‌ছিল বের হ‌য়ে শহ‌রের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদ‌ক্ষিণ শে‌ষে শরীয়তপুর জেলা প্রশাস‌ক কার্যাল‌য়ের সাম‌নে এসে বি‌ক্ষোভ সমা‌বেশে মি‌লিত হয়। প‌রে জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হোসাইন খা‌নের হা‌তে স্মারক‌লি‌পি প্রদান ক‌রেন।

এ সময় অ্যা‌ভো‌কেট আবুল কালাম আজাদ (গে‌ড়িলা আজাদ), অ্যাড‌ভো‌কেট আলী আহম্মাদ, অ্যাড‌ভো‌কেট মুরাদ হো‌সেন মুন্সী, নজরুল ইসলাম রিপন, সাইদুল হক সুন্নাহ্, ইমাম হো‌সেন দেওয়ান, আহ‌মেদ জুলহাস, আবুল ফজল, আমিনুল জিতু, জা‌হিদ হাসান, পলাশ খানসহ নদী ভাঙন কব‌লিত এলাকার ক‌য়েকশত মানুষ উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

স্মারক‌লি‌পি‌ থে‌কে জানা যায়, দীর্ঘ‌দিন যাবত শরীয়তপুর ন‌ড়িয়-জা‌জিরা উপ‌জেলার বেশ কিছু গ্রাম পদ্মা নদী‌র গ‌র্ভে বলীন হ‌য়ে গে‌ছে। দুই বছ‌রে ন‌ড়িয়ার সু‌রেশ্বর, চ‌ন্ডিপুর, ওয়াবদা, মুলপাড়া, ঈশ্বরকা‌ঠি এরং জা‌জিরার কু‌ন্ডেরচর, কল‌মির চর, বিলাসপুর, পা‌লের চর, বড় কা‌ন্দির অধিকাংশ এলাকার ২টি হা‌ই স্কুল, ১২টি প্রাথ‌মিক বিদ্যালয়, প্রায় ৪ হাজার বা‌ড়ি ঘর হাজার হাজার ফস‌লি জ‌মি নদীর গ‌র্ভে ত‌লি‌য়ে গে‌ছে। ভাঙ‌নের ফ‌লে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হ‌য়ে মান‌বেতর জীবন যাপন কর‌ছেন। জেলা প্রশাসক, সংসদ সদস্য, আইজি‌পি ভাঙন কব‌লিত এলাকা পরিদর্শন ক‌রে‌ছেন। অনলাইন পোর্টল, দৈ‌নিক প‌ত্রিকা ও ইলেক্ট্রিক মি‌ডিয়ায় ভাঙ‌নের নিউজ প্রচা‌রিত হ‌য়ে‌ছে। ঢাকা প্রেস ক্লাব ও ন‌ড়িয়া-জা‌জিরা উপ‌জেলায় হাজার হাজার মানুষ ক‌য়েকবার মানববন্ধন ও অনশন ক‌রে‌ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনা ব্য‌ক্তিগতভা‌বে বিষয়‌টি অবগত আছেন। ইতিম‌ধ্যে নদী‌তে বে‌ড়িবাঁধ ও ড্রে‌জিং এর জন্য ন‌ড়িয়া-জা‌জিরা এলাকায় পদ্মা নদীর ডানতীর সুরক্ষা প্রকল্প না‌মে ১ হাজার ২২২ কো‌টি টাকার এক‌টি প্রকল্প সকল প্রকার আনুষ‌ঙ্গিক প্র‌ক্রিয়া শেষ ক‌রে প্লা‌নিং মন্ত্রণায়লয়তে আছে। যাহা এক‌নেক এ পাশ করার অপেক্ষায় আছে।‌কিন্তু প্রকল্প‌টি দ্রুত বাস্তবায়ন করা না হ‌লে ঐতিহ্যবাহী ন‌ড়িয়া বাজার, ন‌ড়িয়া উপ‌জেলা, ন‌ড়িয়া পৌরসভা, মুলফৎগঞ্জ বাজার, ন‌ড়িয়া উপ‌জেলা স্বাস্থ্য কম‌প্লেক্স, মাদরাসা, বিলাসপুর বাজারসহ হাজার হাজার গুরুপ্তপূর্ণ স্থাপনা নদী গ‌র্ভে ত‌লি‌য়ে যা‌বে। তাই প্রকল্প‌টি দ্রুত বাস্তাবায়ন ক‌রা প্র‌য়োজন।