
জেলার ডামুড্যা উপজেলার প্রায় ১৩ শতাংশ খাস জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্টেটের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ডামুড্যা বাস স্টেশন সংলগ্ন ৯ টি দোকান, ডামুড্যা বন্দরের দক্ষিণ বাজারের ৩ টি ক্লাব ও ১১টি দোকানের জমি দখলমুক্ত করা হয়।
ডামুড্যা উপজেলা ভুমি অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি জায়গা দখল করে জেলা পরিষদ সদস্য আবুল মনসুর আজাদ, মনোয়ার মাদবর, মন্নান মাদবর, সোহাল মাদবর, অটো শ্রমিকলীগ নেতা কালাম চৌকিদারসহ বেশ কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে সরকারি খাল ভরাট করে প্রায় ১৩ শতক জমির উপর মার্কেট উত্তোলন করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। শরীয়তপুর জেলা এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোঃ মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এই অভিযান খাস জমিগুলো দখলমুক্ত করা হয়েছে। ডামুড্যা থানা পুলিশ ও জেলা পুুুুলিশ সমন্বয়ে ২২ সদস্যের একটি দল এই অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেন।
ডামুড্যা উপজেলা ভূমি অফিসার সাদিয়া আফরিন বলেন, ডামুড্যা যে সকল সরকারি খাস জমি আছে তা উদ্ধারের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোজি আকতার বলেন, যে সকল জায়গায় সরকারি জমি আছে সে গুলো দখলমুক্ত করার জন্য আমাদের এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জেলা পরিষদের সদস্য আবুল মনসুর আজাদ ভিপি সামিম বলেন, আমরা একটি মামলা করেছি। আগামী ৩ জানুয়ারী মামলার রায় হবে। তারা তার কোন তোয়াক্কা না করে আজ এই অভিযানটি পরিচালনা করেন। এর আগে আমাদের কোন নোটিশ ও করেন নি।
শরীয়তপুর জেলা এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোঃ মনোয়ার হোসেন জানান, দীর্ঘদিন নোটিশ করার পরও তারা তাদের অবৈধ স্থাপনা সরানো নি। যে জমি নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছে তাই আমরা উচ্ছেদ করবো না। এ ছাড়া যে গুলোর মামলা শেষ সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়। সরকারি জমি দখল করে গড়া সব স্থাপনা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।