
শরীয়তপুর পৌরসভার মনোহর মোড়ে পিকআপ ভ্যানের টায়ারের ভিতর থেকে সাড়ে ১১ কেজি গাঁজাসহ ৫জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ট্রাফিক পুলিশ। মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে তাদের আটক করা হয়। এ ব্যাপারে বুধবার বেলা ১টার দিকে শরীয়তপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।
আটকরা হলেন, মো. বাবুল হোসেন (২২) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দ গ্রাম থানার বালিমুড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে, মো. সোহাগ উদ্দিন (২৪) ধর্মপুর দৌলবাড়ি গ্রামের মৃত ছাদেক মিয়ার ছেলে, মো. খলিল হোসেন (২৩) লক্ষীপুর গ্রামের মো. দোলালা হোসেনের ছেলে, শরীফ মিয়া (২২) মিতুলিয়া গ্রামের হাকিম আলীর ছেলে ও মো. জসিম উদ্দিন (২৮) কমার ডগা গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে।
প্রেস ব্রিফিং এ জানানো হয়, গত ১০ ডিসেম্বর বেলা ১১ টার দিকে একটি পিকআপ শরীয়তপুর পৌরসভার মনোহর মোড় দিয়ে যাচ্ছিল । তখন ওই সড়কে থাকা শরীয়তপুর ট্রাফিকের ইন্সপেক্টর মো. বজলুর রহমান পিকআপটিকে থামতে বলে। পিকআপটি না থামিয়ে চালক দ্রুত গতিতে চালিয়ে চলে যায়। তখন ট্রাফিক পুলিশ পিকআপটির পিছু নেয়। কিছু দূর যাওয়ার পর পিকআপ এ থাকা চালক পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়। ট্রাফিক পুলিশ পিকআপটিকে জব্দ করে। তখন পুলিশ ওই পিকআপে থাকা সাড়ে ৫ কেজি গাঁজা পায়।
মাদক ব্যবসায়ীরা পিকআপটি ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য শরীয়তপুর ট্রাফিকের ইন্সপেক্টর মো. বজলুর রহমানের সঙ্গে ৫০ হাজার টাকার চুক্তি করে। তখন ট্রাফিকের ইন্সপেক্টর চুক্তির কৌশলটি অবলম্বন করে। মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে মাদক ব্যবসায়ীরা পিকআপ ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য শরীয়তপুর আসলে ৫০ হাজার টাকাসহ তাদের আটক করা হয়।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের তথ্য অনুযায়ী পিকআপের টায়ারে আরো ৬ কেজি গাঁজা পায় পুলিশ। মোট সাড়ে ১১ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।
প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. এহসান শাহ, সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবীস) সাইফ, পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান প্রমূখ।