
সিনিয়র সাংবাদিক নঈম নিজাম ও আনিস আলমগীরসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ৫৭ ও ৩২ ধারা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) শরীয়তপুর জেলা শাখা।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট, আরটিভি শরীয়তপুর প্রতিনিধি মো. আবুৃল হোসেন, সাপ্তাহিক কাশবন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শফিকুল ইসলাম স্বপন সরকার, বিএমএসএফ শরীয়তপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক, সংলাপ৭১.কমের এবং সাপ্তাহিক বালুচর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এম.এ ওয়াদুদ মিয়া, সদস্য সচিব ও জাগো নিউজের প্রতিনিধি মো. ছগির হোসেন।
মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট বলেন, সিনিয়র সাংবাদিক নঈম নিজাম ও আনিস আলমগীরসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ৫৭ ও ৩২ ধারা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলায় রুপান্তরিত করেছেন, তাতে করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে সাংবাদিকরাও সহযোগতিা করে আসছে। সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির মঙ্গলে কাজ করে। সংবাদপত্র একটি জাতির আয়না রাষ্ট্রের চতুর্থ স্থম্ভ । আয়না দাগ পড়লে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ দেখা যায় না। তাই সংবাদ মাধ্যম থাকতে হবে স্বচ্ছ। সংবাদিক ও সংবাদকর্মী যাতে স্বচ্ছভাবে কাজ করতে পারে বর্তমান সরকারের তা খেয়াল রাখতে হবে। সাংবাদ মাধ্যম যদি অসুস্থ হয়ে পরে, তাহলে দেশও অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাই সরকারের উচিৎ সংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। সাংবাদিকদের উপর হয়রানি বন্ধ করতে হবে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তার কথাও চিন্তা করতে হবে এবং মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)’র ১৪ দফা দাবী মানতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ৫৭ ও ৩২ ধারা দিয়ে সাংবাদিকদের কোন হয়রানি করার যুক্তি নাই। এই আইন বাতিল করতে হবে। সাংবাদিকদের বিচার করতে হলে প্রেস কাউন্সিলে করতে হবে। প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তিনি একজন বিচারপতি। প্রেস কাউন্সিলকে আরো বেগবান করতে জনবল বারিয়ে বিচার কার্যকরসহ সকল ধারা প্রয়োগ করা যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, সিনিয়র সাংবাদিক নঈম নিজাম ও আনিস আলমগীরসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ৫৭ ও ৩২ ধারা বাতিলের দাবিতে আগামি ১১ ফেব্রুয়ারি সারা বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলায় একই সাথে মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যমে প্রধান মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
এ সময় বিটিভি ও সময়টিভি’র শরীয়তপুর প্রতিনিধি মফিজুর রহমান রিপন, চ্যানেল আই’র প্রতিনিধি মো. মজিবর রহমান, ডিবিসি’র প্রতিনিধি বিএম ইশ্রাফিল, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের প্রতিনিধি কবির উজ্জামান, এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি এমবি কাজী নাসির, মানবজমিন নড়িয়া প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন আলম, দৈনিক বজ্রশক্তির প্রতিনিধি আসাদ মল্লিক, শেখ জামাল, জেটিভি’র প্রতিনিধি রুপক চক্রবর্তী, চ্যানেল এস প্রতিনিধি রাজিব হোসেন রাজন, বাংলা নিউজের প্রতিনিধি বেলাল আহম্মেদ, সাপ্তাহিক আজকের শরীয়তপুরের সম্পাদক টিএম গোলাম মোস্তফা, অপরাধ বার্তা ও আনন্দবাজার প্রতিনিধি মো. মহসিন রেজা, ক্রাইম ভিশনের প্রতিনিধি নাছির আহম্মেদ, দৈনিক ঢাকার ডাক প্রতিনিধি আব্দুর রশিদ সরদার, দৈনিক রুদ্রবার্তার প্রতিনিধি আনিছুর রহমান, শেখ নজরুল ইসলাম, পাবেল শিকদার, আমাদের কন্ঠের প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন, দৈনিক ভোরের সূর্য প্রতিনিধি আব্দুল বারেক ভূইয়া, দৈনিক ঘোষণা প্রতিনিধি শাহাদাৎ হোসেন হিরো, সংলাপ৭১. কমের প্রতিনিধি মো. নাসির খান, মানবাধিকার প্রতিনিধি বাবু সিকদার, সময়নিউজের প্রতিনিধি সমীর চন্দ্র শীল, কল ফর ব্লাড’র সদস্য আসিক রেহান, জামাল মাদবর, পলাশ খান, তুষার আহম্মদ, হৃদয় পালোয়ান সাইফুল ইসলাম, সজিব মন্ডল, মো. শাকিল খান, রাশেদ, শাহবুদ্দিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।