আজ শনিবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নড়িয়ার পারিবারিক শত্রুতার জেরে কুপিয়ে জখম

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নওপাড়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে হত্যার উদ্দেশ্যে নওপাড়া সোবাহান বেপারী কান্দির মৃত সোবাহান বেপারীর ছেলে মহিজল বেপারী ওরফে ছেন্টু নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে এমনটাই অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার বেলা সোয়া ১টার দিকে উপজেলার নওপাড়া জয়বাংলা বাজারের নুরনবী সিকদারের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার নড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নওপাড়া নওপাড়া সোবাহান বেপারী কান্দির মৃত সোবাহান বেপারীর ছেলে মহিজল বেপারী ওরফে ছেন্টু (৪৫) ও একই গ্রামের মৃত আলম চাঁন বেপারীর ছেলে কালাচাঁন বেপারীর (৭০) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। তারই জেরে গত ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার কালাচাঁন বেপারী সঙ্গবদ্ধ লোকজন নিয়ে নওপাড়া জয়বাংলা বাজারের নুরনবী সিকদারের দোকানের সামনে মহিজল বেপারী ওরফে ছেন্টুকে পূর্ব পরিকল্পনা মতে একা পেয়ে দেশীয় অশ্র রানদা, ছেনদা, চাপাতি, লোহার রড, লোহার শাবল, বাশের লাঠি দিয়ে এলো পাথারীভাবে পিটাতে ও কোপাতে থাকে । তখন ছেন্টু রক্তাক্ত জখম হলে মাটিতে অজ্ঞান হয়ে পরে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ছেন্টুকে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কালাচাঁন বেপারীসহ ইয়া রসুল বেপারী (২৫), ইব্রাহিম বেপারী (৭০), আবু বেপারী (৩০) ও অজ্ঞাত তিনজনকে আসামী করে ছেন্টু বাদী হয়ে নড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে ফাইজুল ইসলাম সরদার, কুদ্দুস বেপারী, জসিম ফকিরসহ স্থানীয়রা জানান, কালাচাঁন বেপারীরা প্রভাবশালী লোক। কিছু হলেই সাধারণ মানুষকে মারধর করে। এই হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ। তাহলে এলাকার মানুষ কিছু হলেও শাপন্তি পাবে।

এ ব্যাপারে নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমরা আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।