
নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত সাংবাদিক ফয়সাল আহমেদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শরীয়তপুরের ডামুড্যার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
এর আগে, সকাল ১০টার দিকে ডামুড্যা পূর্ব মাদারীপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে ফয়সালের জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়। এ সময় ফয়সালের মামা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. বাহাদুর বেপারী, বাবা সামসুদ্দিন সরদার, ভাই সাইফুল ইসলাম, রাকিব সরদার, মামা কায়কোবাদ বেপারী, বিল্লাল বেপারীসহ অন্য স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোজী আক্তার, ডামুড্যা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন মাঝি, ডামুড্যা পৌরসভার মেয়র হুমায়ূন কবির বাচ্চু ছৈয়াল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার কামাল উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক বাবলু সিকদারসহ বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, বিভিন্ন পেশার মানুষ।
সোমবার বিকেলে আর্মি স্টেডিয়ামে নেপালে ইউএস-বাংলা বিমা উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৩ জনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল ৫টার দিকে মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সগুলো বিমানবন্দর থেকে আর্মি স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছায়। মরদেহগুলো জানাজার পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরে ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ফয়সালের মরদেহটি শরীয়তপুরের ডামুড্যায় পৌছায় ।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ (সোমবার) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।