আজ বুধবার, ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

বেরীবাঁধ বাস্তবায়নের দাবীতে নড়িয়াবাসীর তীব্র গণআন্দোলনের প্রস্তুতি

ইলিয়াছ মাহমুদ ॥ পদ্মার ডান তীর সংরক্ষণ ও নদী শাসন প্রকল্পটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ণ এবং আগামী বর্ষার আগেই কাজ শুরুর দাবীতে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পদ্মার ভাঙন কবলিত এলাকাবাসী। শুক্রবার (২৩ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে নড়িয়া স্বাধীনতা মঞ্চে পদ্মার ভাঙন কবলিত এলাকাবাসীর আলোচনা সভা থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৪ মার্চ সকাল ১০টায় নড়িয়া উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন, ২৫ মার্চ বেরীবাঁধ বাস্তবায়নের দাবীতে সরকারি বিভিন্ন দফতরের থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি প্রদানের লক্ষে স্ব-স্ব দফতরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়, ২৬ মার্চ গণঅবরোধ সফল করার লক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মত বিনিময়, ঢাকায় শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় এবং আগামী ০১ এপ্রিল নড়িয়ায় গনঅবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা বার কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, কেদারপুর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বাশার দেওয়ান ও ইমাম হোসেন দেওয়ান, মোক্তারের চর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান ফখরুদ্দিন মুন্সি, মাষ্টার কে এম ওবায়দুল হক, মোক্তারেরচর ইউপি মেম্বার রফিক হাওলাদার, মাষ্টার সাইদুল হক মুন্নাহ, গণমাধ্যম কর্মী বরকত আলী মুরাদ, ইবরাহিম হোসাইন প্রমূখ।

প্রসঙ্গত গত দুই বছরে পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার প্রায় ৭ হাজার পরিবার গৃহহীন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী বর্তমানে ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে ৮ হাজার বসত বাড়ি, ১৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ১ কিলোমিটার সুরেশ^র রক্ষা বাঁধ, ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৫৫ মসজিদ মাদরাসা সহ প্রায় ৩ হাজার ৪২৫ কোটি টাকার সম্পদ। এ ক্ষতি এড়াতে জাজিরা-নড়িয়া পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প গত ২ জানুয়ারি অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। ১ হাজার ৯৭ কোটি টাকার এ প্রকল্পের আওতায় ৯ কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ ও চর ড্রেজিং করা হবে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে এ প্রকল্পের কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে দুই উপজেলার প্রায় কয়েক লাখ মানুষ। শুস্ক মৌসুমে বাঁধ নির্মান করা না গেলে আগামী বর্ষায় নড়িয়া উপজেলা সদর বিলিন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেরীবাঁধ নির্মানের দাবী জানিয়েছে স্থানীয়রা।