
শরীয়তপুর সদর উপজেলার রাজগঞ্জ কীর্তিনাশা নদীর উপর অবস্থিত সেতুর সংযোগ ভেঙ্গে একটি পণ্যবাহী ট্রাক নদীতে পড়ে গেছে। ফলে বিপাকে পড়েছে শরীয়তপুর সদর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ।
পাশাপাশি সেতুর উপর দিয়ে চলাচলকারী সকল পণ্যবাহী গাড়ি ও যানবাহন বাধ্য হয়ে ১২ কিলো মিটার রাস্তা ঘুড়ে বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। এ নিয়ে গত এক বছরে সেতুটি তিন বার ভাঙ্গনের শিকার হলো। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কোন প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাননি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে শরীয়তপুর শহর থেকে মাত্র ২ কিলো মিটার দূরে কীর্তিনাশা নদীর উপর ১শ ৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি সেতু নির্মাণ করেন। কিন্তু ২০১২ সালে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে প্রথমে সেতুর পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়কটির মাটি ও বালু ধ্বসে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তখন সেতুটি স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সাময়িক ভাবে মেরামত করে চলাচল উপযোগি করা হয়।
এরপর গত বছরের অক্টোবর মাসে একই স্থানে প্রায় ২শ ফিট জায়গা নিয়ে সেতুর সংযোগ সড়ক নদীগর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়। তখন ভারী যান চলাচল না করার শর্তে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সেতুটির ক্ষতিগ্রস্থ অংশে বেইলী স্থাপন করেন। কিন্তু সেই শর্ত ভেঙ্গে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ২৫ মেট্রিক টন ওজনের একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মা নিয়ে পাড়াপাড়ের সময় ট্রান্সফর্মা বহনকারী ট্রাকটি মূল সেতুতে উঠতেই সংযোগ বেইলী ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়। সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত কোন খোঁজ নেয়নি।
তবে শরীয়তপুরের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে সার্বিক অবস্থা তদারকি করেছেন। শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক নিয়াজ আহমেদ জানিয়েছেন, উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্রেন ছাড়া ট্রাকটি উদ্ধার করা সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে তুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম ফকির বলেন, সেতুটি মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে নতুন করে ভাঙ্গনের শিকার হলো। এর আগেও দুই বার ভেঙ্গেছে। আমরা বার বার প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি স্থায়ীভাবে সেতুর সংযোগটি মেরামত করতে। কিন্তু তারা উদ্যোগী না হওয়ায় পূণরায় ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার হাজার হাজার মানুষ।-songlap71