আজ শনিবার, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

“ডা: গোলাম মাওলাঃ মুক্তিসংগ্রামের অগ্রসৈনিক”

বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামের প্রতীক জাতীয় শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রাণপুরষ ভাষা সৈনিক ডাক্তার গোলাম মাওলা । মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক জাতীয় শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ডা.গোলাম মাওলার নেতৃত্ব প্রদান, ভূমিকা অবিস্বরনীয়। ১৯২০ সালের ২০ অক্টোবর শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার মোক্তারেরচর ইউনিয়নের পোড়াগাছা গ্রামে ঐতিহ্যবাহী মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন গোলাম মাওলা। তার পিতার নাম আব্দুল গফুর ঢালী এবং মায়ের নাম ছিল জমিলা খাতুন। গোলাম মাওলার পিতা ইউনিয়ন বোর্ডর প্রেসিডেন্ট ছিলেন। জাজিরা থানার পাঁচুখার কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণী পাশ করে গোলাম মাওলা নড়িয়া বিহারী লাল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯৩৯ সালে সেখান থেকে তিনি বিজ্ঞান বিভাগে কৃতিত্বের সাথে মেট্রিক পাশ করেন। ৪১ ও ৪৩ সালে তিনি ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে আইএসসি ও বিএসসি পাশ করেন। এরপরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূ-তত্ব বিষয়ে এমএসসি পাশ করার পর ১৯৪৫ সালে কোলকাতা মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ডাক্তারী কোর্সে ভর্তি হন। সে বছর মাত্র দুইজন মুসলিম বাঙালী ছাত্র কোলকাতায় এমএসসি পাশ করার পর এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হয় । একজন গোলাম মাওলা অপর জন মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ।
গোলাম মাওলা বৃটিশ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। মুকুল ফৌজের অধিনায়ক হিসেবে বৃটিশ তাড়ানোর আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। ৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর কলকাতা থেকে তিনি মাওলা ঢাকা মেডিকেল কলেজে চলে আসেন। ৪৮ সাল থেকেই মাওলাসহ কয়েকজন ছাত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র ইউনিয়ন (ছাত্র সংসদ) প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালান। ৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ গঠন করা হলে গোলাম মাওলা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মনোনিত হন। ১৯৫০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে হাতে গোনা কয়েকজন ছাত্রনেতা রাজপথে শান্তি— মিছিল বের করেছিল। এদের মধ্যে গোলাম মাওলা অন্যতম ছিলেন ১৯৫০ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদ গঠন হলে প্রথম ভিপি নির্বাচিত হন ডা. নাজির আহমেদ (তিনি সেনা বাহিনীতে চাকুরী নিয়ে পকিস্তান চলে গেলে আর কখনো ফিরে আসেননি)। ঢাকা মেডিকেলের ২য় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মাওলা ৫২র জানুয়ারিতে ভিপি নির্বাচিত হন গোলাম মাওলা।

ডা. খালেদ শওকত আলী

১৯৫২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় ঢাকা বার এসোসিয়েশন লাইব্রেরীতে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের জরুরী সভা হয়। গোলাম মাওলা অসুস্থ থাকায় তিনি ছাত্র সংসদের জিএস শরফুদ্দিন আহমেদ (এসডি আহমেদ) কে পাঠান। সেই সভায় সিদ্ধান্ত হয় ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ধর্মঘট, মিছিল, সভা-সমাবেশ ও পিকেটিং করা হবে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে । শরফুদ্দিন ছিলেন পুরান ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা। পকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই ঢাকার আদিবাসীদের (ঢাকাইয়া কুট্টি) বেশির ভাগেরই আনুগত্য ছিল পকিস্তান রাষ্ট্র এবং উর্দু ভাষার প্রতি। তখন ঢাকা শহর ২২টি পঞ্চায়েতের স্থানীয় সরকার পদ্ধতির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হতো। এই ২২ পঞ্চায়েতের সর্দার ছিলেন পুরান ঢাকার লায়ন সিনেমা হলের মালিক কাদের সরদার।
১৯ ফেব্রয়ারি মাওলার পরামর্শে শরফুদ্দিন আহমেদ, ডা. আদুল আলীম চৌধুরী (পরবর্তীতে ৭১ এর ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি) ও ডা. মুঞ্জুরকে নিয়ে কাদের সরদারের বাড়িতে গিয়ে তাকে রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে ভূমিকা নিতে অনুরোধ জানান। কাদের সরদার প্রথমে ছাত্রদের কথা ততটা পাত্তা না দিলেও পরে যুক্তি প্রদানের এক পর্যায়ে তিনি রাজি হয়ে যান। এবং ঐ মুহুর্তেই সরদারর ২২ পঞ্চায়েতকে জানিয়ে দেন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ছাত্র আন্দোলনকে সহায়তা করতে (ডাক্তার মাওলা সেদিন এই কৌশল অবলম্বন না করলে ২০ তারিখের ধর্মঘট এবং ২১ ফেব্রুয়ারি১৪৪ ধারা ভঙ্গে স্থানীয় ঢাকাবাসীর সমর্থন পাওয়া যেতনা)। ২০ ফেব্রুয়ারী গোলাম মাওলা ছাত্রদের আবেগ বুঝতে পেরে এবং কয়েকজন মেডিকেল ছাত্রের প্রস্তাবে মাইক ভাড়া করে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত দেন। মাওলা সাহেব ২ জন ছাত্রকে ডেকে হোষ্টেল ঘুরে ২৫০ টাকা উঠিয়ে আনতে বল্লে ছাত্ররা মাত্র কিছুক্ষনের মধ্যে ৪৫০ টাকা উঠিয়ে মাওলার হাতে দেন। তিনজন ছাত্র তিন দিকে চলে গেলেন মাইক ভাড়া করতে। মাওলা সাহেব একজনকে নির্দেশ দিলেন ওয়াইজ ঘাটের ফেক্টর দোকানের ১০০ ওয়াটের সেই মাইকটি অবশ্যই আনতে হবে, যে মাইকে জিন্নাহ ঘোষণা দিয়েছিল “উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা”। যথারীতি তিন সেট মাইকই পাওয়া গেল। ফেক্টর দোকানের সেই ১০০ ওয়াটের মাইকও আসলো। ডাঃ আব্দুল আলীম চৌধুরীর কক্ষকে কন্ট্রোল রুম বানিয়ে সেখান থেকে গোলাম মাওলাসহ মেডিকেল কলেজের ও সংগ্রাম পরিষদের নেতারা অবিরাম বত্তব্য দিতে শুরু করলো। ছাত্রদের আন্দোলন তুমুল আকার ধারন করলো। মুসলিমলীগ সরকার রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের তীব্রতা আঁচ করতে পেরে ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সমগ্র ঢাকা শহরে একমাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে দেয়। এ সংবাদ প্রচারের সাথে সাথে জ্বলন্ত বারুদের মত ক্ষেপে উঠে সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ বিশেষ করে ঢাকা মেডিকেলের ছাত্ররা (ঐ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১৫ জন পলিট ব্যুরোর নেতাদের মধ্যে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের ব্যাপারে দ্বিধা দ্বন্দ চলতে থাকে। ৪৪ ধারা ওভারলুক করার পক্ষে থাকেন মাত্র চারজন। বাকি ১১ জন সায় দেননি। গোলাম মাওলা, আব্দুল মতিন,অলি আহাদ ও সামসুল আলম শক্ত অবস্থানে থাকেন ।
২১ ফেব্রুয়ারী ভোর থেকেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত ছাত্র ছাত্রী ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে জড়ো হতে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায়। তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে অনেক আম জনতা । ১০ জনের একেকটি দলে তারা রাস্তায় বেড়–তে থাকে। প্রথম দিকে বেড়–নো ৩/৪ টি দলকেই পুলিশ গ্রেফতার করে গাড়িতে তুলে নিয়ে গেল। মেয়েদের একটি দলের উপরও পুলিশ বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে তাদের লাঞ্ছিত করলো। পুলিশের সাথে আন্দোলন কারীদের তুমুল ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি ও ধাওয়া পল্টা ধাওয়া হতে থাকে দীর্ঘক্ষন। পুলিশ এক পর্যায়ে বৃষ্টির মতো টিয়ার সেল নিক্ষেপ ও গুলি করতে শুরু করলে প্রথমেই শহীদ রফিকের মাথার খুলি গুলি লেগে বাটির মতো ১২/১৩ ফিট দূরে গিয়ে পরে (বর্তমান শহীদ মিনারে কাছে)। পাশা পাশি আরো ২টি লাশ পরে যায় মাটিতে। এরপর ছত্র ভঙ্গ হতে থাকে ছাত্ররা। তারা অভয়াশ্রম হিসেবে জড়ো হতে থাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকায়। মেডিকেলের সংগ্রামরত ছাত্ররা শত শত আহত আন্দোলনকারীকে চিকিৎসা দিতে থাকে। সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের বিশৃংখল অবস্থায় কান্ডারী হিসেবে আবির্ভূত হন গোলাম মাওলা। ২১ শে ফেব্রুয়ারির হত্যাকান্ডের পর পরই বিকেলে নেতারা জরুরী বৈঠকে মিলিত হন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। সেখানে আন্দোলনের পরবর্তী কৌশল নির্ধারণ করা হয়। সভায় গোলাম মাওলাকে আহবায়ক করে নতুন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এখানে উপস্থিত থাকেন তমদ্দুন মজলিশের রাজনৈতিক ফ্রন্টের আহবায়ক আবুল হাশিম, সাপ্তাহিক সৈনিক স¤পাদক আব্দুল গফুর, কমরুদ্দিন আহমেদ, শামসুল হক, কাজী গোলাম মাহবুব, অলি আহাদ, মোঃ তোয়াহা, কবীর উদ্দিন আহমেদ, শহিদুল্লাহ কায়সার, কাজি মোস্তফা, মাহবুব জামাল জাহেদী ও গোলাম মাওলা। এই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২১শের রাতে অলি আহাদ ও আব্দুল মতিনের উপস্থিতিতে মাওলা সাহেবের কক্ষে আবার সভা বসে। সেখানে গোলাম মাওলাকে নতুন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক করে একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়। ২১ ফেব্রুয়ারী পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদদের লাশ রাখা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে। কাউকে লাশ দেখতে দেয়া হয়নি। পুলিশ সারাক্ষন পাহারায় রাখে। ২২ ফেব্রুয়ারী সকালে শহীদদের গায়েবানা জানাজা পড়ানো হলো অসংখ্য জনতার উপস্থিতিতে। এরপরে ছাত্ররা রাজপথে আবার মিছিল বের করে। পুলিশ সেখানে গুলি চালালে এদিনও হতাহত হয় আরো কয়েকজন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হয়ে উঠে আন্দোলনের প্রান কেন্দ্র। সকল মতাদর্শের উর্ধে উঠে গোলাম মাওলা হয়ে উঠেন একতার প্রতীক। ছাত্ররা সিদ্ধান্ত নেয় গোলাম মাওলার নির্দেশে বদরুল আলম ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলাম, ডাঃ সাইদ হায়দারের সাহায্য নিয়ে ৩য় বর্ষের ছাত্র একটি নকশা প্রস্তুত করেন। ২৩ ফেব্রুয়ারী রাতে মেডিকেলের ছাত্ররা সিদ্ধান্ত গ্রহন করে মেডিকেল কলেজের যে স্থানে প্রথম গুলি চালানো হয়েছিল সেখানেই শহীদ মিনার স্থাপন করা হবে। সিদ্ধান্ত মতে নির্মানাধীন নার্সেস কোয়ার্টারের ইট-বালু-সুরকি আর হোসেনী দালান সড়কের পুরান ঢাকাইয়া পিয়ারু সরদারের গুদাম থেকে সিমেন্ট এনে সারা রাত জেগে ১০ ফুট উঁচু ও ৬ ফুট প্রস্থের ঐতিহাসিক প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারী ভোরে অক্লান্ত পরিশ্রমে নির্মান কাজ শেষ হলে মিনারের চার দিকে রশি বেঁধে ঘের দেওয়া হয়। মিনারের নিচের অংশে লাল শালু কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে তার ওপরের অংশে হাতে লেখা দুটি পোষ্টার সাটানো হয়। এর একটি পোষ্টারে লেখা ছিল “ শহীদ স্মৃতি অমর হোক” অপরটিতে “ রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই”। শহীদ শফিউর রহমানের পিতা মৌলভী মাহাবুবুর রহমান ২৪ তারিখে প্রথমবার উদ্বোধন করেন শহীদ মিনারের। ২য় বার ২৬ ফেব্রুয়ারী উদ্বোধন করেন দৈনিক আজাদ পত্রিকার স¤পাদক আবুল কালাম সামসুদ্দিন। শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে মিনার নির্মান করা হয়েছে এ খবর মুহুর্তের মধ্যে পৌছে যায় বিভিন্ন এলাকায়। দলে দলে নারী-পুরুষ, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে থাকে শহীদ বেদীতে । ২৬ ফেব্রুয়ারি সেনা ও পুলিশ সদস্যরা ভেঙ্গে ধুলিসাৎ করে দেয় শহীদ মিনারটি।
২০১০ সালে জাতীয় সংসদের তৎকালিন ডেপুটি  স্পীকার ও শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ কর্নেল (অব.) শওকত আলীর অক্লান্ত চেষ্টায় ভাষা সৈনিক মরহুম ডা. গোলাম মাওলাকে জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরনোত্ততর ২১শে পদক প্রদান করেছেন । এছারাও জাতীয় বীর কর্নেল (অব.) শওকত আলীর কল্যাণে কীর্তিনাশা নদীর উপর নির্মিত সেতু ও নড়িয়ায় একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে গোলাম মাওলার নামে। ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকাকে বিশেষ অনুরোধ করে শওকত আলী সাহেব ২০০৭ সালের ২৫ এপ্রিল ধানমন্ডির ১ নং সড়কটির নামকরন করান গোলাম মাওলার নামে। এ ছারাও শওকত আলী সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় শরীয়তপুর সরকারি পাবলিক লাইব্রেরীকে ২০০৯ সালে “ভাষা সৈনিক ডা. গোলাম মাওলা পাবলিক লাইব্রেরী” নামে নাকরন করান। কাজ করে চলেছেন ডা. গোলাম মাওলা তরুণ স্মৃতি সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অনেক আগে। ২রা মে শওকত আলী এমপির উদ্দীপনায় ভাষা সৈনিক ডা. গোলাম মাওলা স্মৃতি সংসদ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ডা: গোলাম মওলা শরীয়তপুর বাসীর গর্ব ও বাঙ্গালি জাতির গৌরবময় মুক্তির সংগ্রামের অগ্রসৈনিক । বিনম্র শ্রদ্ধা জতির এই বীর সন্তানের প্রতি ।

[সদস্য, কার্যনির্বাহী সংসদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, শরিয়তপুর জেলা এবং প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, ৭১ ফাউন্ডেশন, কেন্দ্রীয় কমিটি।]