আজ সোমবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ভেদরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সহ ৩ জনকে পিটিয়ে জখম

শরীয়তপু‌রের ভেদরগ‌ঞ্জে জ‌মি সংক্রান্ত বি‌রো‌ধের জের ধ‌রে এক মুক্তিযোদ্ধা‌ ও তার পরিবারের তিন সদস্যকে রড দি‌য়ে পি‌টি‌য়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২৮ মে সোমবার সকা‌লে উপ‌জেলার ম‌হিষার ইউনিয়‌নের সাজনপুর গ্রা‌মে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের‌ ভেদরগঞ্জ উপ‌জেলা স্বাস্থ্য কম‌প্লে‌ক্সে ভ‌র্তি করা হ‌য়ে‌ছে। এ ঘটনায় কবুল ছৈয়াল না‌মে একজন‌কে আটক ক‌রে‌ছে ভেদরগঞ্জ থানা পু‌লিশ।
আহতরা হ‌লেন- সাজনপুর গ্রামের মু‌ক্তি‌যোদ্ধা নুর মোহাম্মদ ছৈয়াল (৬৫),স্ত্রী রা‌জিয়া বেগম (৫০), ছেলের বউ সীমা আক্তার (৩০) ও নাতি জা‌হিদ ছৈয়াল (১৯)।
স্থানীয় সূ‌ত্রে জানা গেছে, ভেদরগঞ্জ উপ‌জেলার ম‌হিষার ইউনিয়‌নের সাজনপুর গ্রা‌মের মু‌ক্তি‌যোদ্ধা নুর মোহাম্মদ ছৈয়াল স‌ঙ্গে আবুল কালাম ছৈয়া‌লের ৯০ শতক জ‌মি নি‌য়ে ৮ বছর যাবৎ বি‌রোধ চ‌লে আস‌ছে। ওই জ‌মি নি‌য়ে মামলা হলে আদালত মু‌ক্তি‌যোদ্ধা নুর মোহাম্মদ ছৈয়ালের পক্ষে রায় দেন। কিন্তু সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার ‌দি‌কে প্রতিপক্ষ আবুল কালাম ছৈয়াল তার লোকজন নিয়ে সেই জমি দখল করতে আসে। এ সময় দখলে বাঁধা দেয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন নুর মোহাম্মদ ছৈয়াল, রা‌জিয়া বেগম, সীমা আক্তার ও জা‌হিদ ছৈয়ালকে রড দি‌য়ে পি‌টি‌য়ে গুরুতর আহত ক‌রে এবং জমি ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে ভেদরগঞ্জ উপ‌জেলা স্বাস্থ্য কম‌প্লে‌ক্সে ভ‌র্তি ক‌রে। খবর পেয়ে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ এলাকায় গিয়ে কবুল ছৈয়াল নামে একজনকে আটক করে। অন্য হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
আহত মু‌ক্তি‌যোদ্ধা নুর মোহাম্মদ ছৈয়াল ব‌লেন, ‘৯০ শতাংশ জমির মধ্যে ৮০ শতাংশ জ‌মির মা‌লিক আমি। আদালতও আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। সকালে আবুল কালাম জোর করে আমার জমি দখল করতে চাইলে আমরা বাঁধা দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ও আমার নাতিকে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। বাড়ির মহিলারাও ওদের আক্রোশ থেকে রেহাই পায়নি।’
ভেদরগঞ্জ থানার ও‌সি ‌মে‌হেদী হাসান ব‌লেন, ‘দীর্ঘ‌দিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ ছৈয়ালের স‌ঙ্গে আবুল কালাম ছৈয়া‌লের জমি নিয়ে বি‌রোধ চল‌ছিল।আজ সেই জ‌মি দখল কর‌তে আসে আবুল কালা‌মের লোকজন। তখন মু‌ক্তি‌যোদ্ধার প‌রিবার বাঁধা দি‌লে তা‌দের মারধর ক‌রা হয়। এ ঘটনায় কবুল না‌মে একজন‌কে আটক করে থানায় আনা হ‌য়ে‌ছে। মামলার প্রস্তু‌তি চল‌ছে।