
শরীয়তপুরে রমজানের শেষ মুহূর্তে ঈদ বাজারে বেচা-বিক্রির ধুম পড়েছে। শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানগুলোতে তিল পরিমাণ ঠাঁই নেই। ঈদে চাই নতুন পোষাক। আর পোশাকের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকায় বেড়েছে বেচা-বিক্রি। জেলায় ভারতীয় বাংলা ও হিন্দি সিরিয়ালের নামের সঙ্গে মিল রেখে বিক্রি হচ্ছে নানা ধরনের ভারতীয় পোশাক। তবে এবছর প্রচণ্ড গরমের কারণে ঈদের পোশাক পছন্দের ক্ষেত্রে সুতির দিকে বেশি ঝুঁকছে ক্রেতারা।
জেলার ছয়টি উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, কাপড়ের দোকানগুলোতে এখন ক্রেতার উপচেপড়া ভিড়। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ঈদের কেনাকাটার জন্য জেলা ও উপজেলা শহরের বিভিন্ন শপিং মল, মার্কেট, ফুটপাতে ভিড় করছে। পছন্দের পোশাক কিনতে ছুটছে এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে। নিম্ন আয়ের মানুষরা যাচ্ছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে।
শরীয়তপুর পৌরসভা পালং বাজারের শরীয়তপুর বস্ত্র মেলা স্বত্বাধিকারী মো. জয়নাল আবেদনি খান ও আদর্শ বস্ত্র বিতানের মো. আনোয়ার হোসেন জানান, এবারের ঈদে মেয়েদের পানচু, রাজমহল, টু-পার্ট থ্রি পিছ, লং ফ্রগ, গাউন পোশাকের বেশি চাহিদা। শাড়ির ভিতর রয়েছে বিনয়ের শিল জর্জেট, কাবেরি, কাতান, সাউথ কাতান, টাঙ্গাইলের টিস্যু জামদানি।
মৌসুমী ফ্যাশন স্বত্বাধিকারী আব্দুল লতিফ বলেন, ছেলেদের জিন্সের প্যান্ট, পাঞ্জাবি, গেঞ্জি, টি-শার্ট, টুপি, জুতা বেশি বিক্রি হচ্ছে। গরম বেশি থাকায় সুতি পোশাকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
পোষাকের পাশাপাশি নারী পুরুষের বিভিন্ন সাইজের জুতা, সেন্ডেলও বেশ বিক্রি হচ্ছে।
সদর উপজেলার স্বর্ণঘোষ গ্রাম থেকে ঈদের পোশাক কিনতে আসা লাবনী আক্তার জানান, ঈদের জন্য দুইটি ড্রেস কিনেছি । একটি টু পার্ট থ্রি পিচ কিনতে বাজারে এসেছি। আমার ভাই বোনের জন্যও পোষাক কিনবো। খুব আনন্দ লাগছে, নতুন পোষাক পড়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঈদ করবো।
এ দিকে ঈদকে সামনে রেখে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
শরীয়তপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন সিকদার বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিরতকে সামনে রেখে যেনো কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলার প্রতিটি মার্কেট ও প্রতিটি লঞ্চ ঘাটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে বলে জানান তিনি।
সুত্র: দৈনিক রুদ্রবার্তা