
শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার চামটা ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি মামুন গাজী শরীয়তপুরে কর্মরত আলিফ টিভি’র জেলা প্রতিনিধি হাফিজুর রহমানকে বেধড়ক মারধর করেছে। ১৭ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যে সাড়ে ৬টার সময় এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক হাফিজুর রহমানের অবস্থা আশংকা জনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনা শোনার পর নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম উদ্দিন এবং নড়িয়া উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিক হাফিজকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে নড়িয়া থানায় যুবলীগ সভাপতি মামুন গাজীকে আসামী করে একটি মৌখিক অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ মামুন গাজীকে এখনও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি।
এদিকে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি এম.এ ওয়াদুদ মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক বি.এম ইশ্রাফিল এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নড়িয়া উপজেলার চামটা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত রবিউল মাদবরের ছেলে আবুল বাশার মাদবর একই গ্রামের সুমন ছৈয়ালের স্ত্রী জান্নাত বেগমের সাথে পরকিয়া করছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ জুলাই রাতে তারা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয় এবং তা জান্নাত বেগমের স্বামী সুমন ছৈয়ালের নিকট ধরা পড়ে যায়। আলিফ টিভি’র জেলা প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান এ ধরণের একটি সংবাদ পরিবেশন করায় চামটা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মামুন গাজী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। প্রথমে সাংবাদিক হাফিজকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হুমকি দেন এবং পরে পার্শ্ববর্তী ডিঙ্গামনিক ইউনিয়নের গোলার বাজার এসে বেধড়ক মারধর করেন। এসময় সাংবাদিক নূরে আলম জিকু এবং স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক নূরে আলন জিকু বলেন, চামটা ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি মামুন গাজী গোলার বাজারে এসে সাংবাদিক হাফিজের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমি এবং স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতালে আসার সময় হাফিজ বেশ কয়েক বার বমি করেছে। অবস্থা বেগতিক দেখে উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ডি.এম বরকত আলী মুরাদকে জানাই।
এ ব্যাপারে চামটা ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি মামুন গাজীর সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তাকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। পরে তার মুঠোফোনে কল দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম উদ্দিন বলেন, চিন্তার কোন কারণ নেই। আমার উপর আস্থা রাখুন। ঘটনার সাথে যারা জরিত তাদের সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে।