
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় সাধুর বাজার গত মঙ্গলবার বিকেলে নদী ভাঙনের ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের এক জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।
সোমবার দুপুরে চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার আলুরচর এলাকার মেঘনা নদীতে শেখ আল আমিন হাসানের ভাসমান মরদেহ পাওয়া যায়। শেখ আল আমিন হাসান পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বড়ইবুনিয়া গ্রামের শেখ মনিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি আইটিএল মোবাইল কোম্পানির সেলস এক্সিকিউটিভ ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন।
নিহত শেখ আল আমিনের চাচা মামুন শেখ বলেন, স্থানীয় লোকজন ট্রলার যোগে নদী দিয়ে যাওয়ার সময় লাশ দেখতে পেয়ে মোবাইলে ছবি তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়ার পর আমরা খবর পাই। পরে ট্রলারযোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে আল আমিনের মরদেহ শনাক্ত করি ।
স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবারের দাবি অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ১০ জনের মধ্যে ৯ ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ নয়জন হলেন, নড়িয়া উপজেলার উত্তর কেদারপুর গ্রামের শাহজাহান বেপারী (৭০), মজিবুর রহমান ছৈয়াল (৪৫), গোপী বাছার (৫৫), কেদারপুর গ্রামের নাসির বয়াতী (১৮), মোশারফ চোকদার (৪৬), চাকধ গ্রামের নাসির হাওলাদার (৩৫), বাড়ইপাড়া গ্রামের কামাল উদ্দিন ছৈয়াল (৬২), দক্ষিণ চাকধ গ্রামের অন্তু মগদম (১৫), মোক্তারের চর গ্রামের আব্দুর রশিদ হাওলাদার (৩৬)। এ সময় আহত হন প্রায় ২০ জন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ নড়িয়ার কেদারপুর ইউনিয়নের সাধুর বাজার এলাকার বিশাল অংশ ধসে পড়ে মুহূর্তেই নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ৩টি দোকান এ সময় নদীতে তলিয়ে যায়। ঘটনার সময় সেখানে স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জন লোক ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান। তখন ১০ জন নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ ১০ জনের মধ্যে একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে।