আজ বুধবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

পদ্মার পেটে গেল বিলাসবহুল ভবনটি

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মুলফৎগঞ্জ বাজার এলাকায় গাজী কালুর মেহমান খানা হিসেবে পরিচিত হযরত খাজা মঈন উদ্দিন চিশতী নামে চারতলা বিলাসবহুল ভবনটি পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।

এছাড়াও শনিবার রাতের এই ভাঙনে একইসঙ্গে খান বাড়ি জামে মসজিদ ও মোহাম্মদ দিলু খার দোতলা পাকা বাড়িটিও নদীগর্ভে চলে গেছে।

বর্তমানে ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মূলফৎগঞ্জ বাজার। যেকোনো সময় বাজার ও হাসপাতালটি পদ্মার পেটে যাবে।

এর আগে শনিবার দুপুরে নড়িয়া-মূলফৎগঞ্জের একমাত্র সড়কের নড়িয়া বাঁশতলা থেকে পূর্ব নড়িয়া মূলফৎগঞ্জ বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার পদ্মা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

স্থানীয় গোলাম ফারুক বাবুল বলেন, শনিবার দুপুরে মোবাইলে চারতলা বাড়িটির ছবি তুলেছিলাম। রাতে শুনলাম বাড়িটি পদ্মার গর্ভে চলে গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নড়িয়া উপজেলার সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, ঘরবাড়ি, দোকান ঘর, গাছপালা, ফসলি জমি পদ্মায় তলিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই।

তাদের দাবি, নড়িয়া উপজেলাকে রক্ষায় খুব দ্রুত পদ্মা নদীর ডান তীরে বাঁধ তৈরির পদক্ষেপ নেয়া উচিত সরকারের।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ভাঙন শুরুর বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে খুব শিগগিরই বেড়ি বাঁধের কাজ শুরু করা হবে।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন বলেন, বিলাসবহুল বাড়িটি পদ্মায় তলিয়ে গেছে শুনে রোববার সকালে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ দিক অথবা অক্টোবরের প্রথম দিকে ভাঙন কবলিত নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার ৯ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধের কাজ শুরু করবে সরকার।