আজ মঙ্গলবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

জাজিরায় ঘরে মুরগী ঢোকাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গর্ভবতি মহিলাসহ আহত ২

বসত ঘরে মুরগী ঢোকাকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের পাঁচুখার কান্দি গ্রামে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় ৮ মাসের গর্ভবতি মহিলাসহ আহত ২।
৭ জানুয়ারী সোমবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এক গর্ভবতিসহ ২ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ হাসপাতালের রোগী এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আহতরা হলেন মোসাম্মৎ ময়না বেগম (৩৫) এবং তার স্বামী মো. আজাহার কাজী (৪৫)।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের পাঁচুখার কান্দি গ্রামের আজাহার কাজীর পালিত মুরগী প্রতিবেশী আবু সিদ্দিক চৌকিদারের বসত ঘরে গেলে আজাহার কাজীর সাথে আবু সিদ্দিক চৌকিদারের কথা কাঁটাকাটি হয়। কথা কাঁটাকাটির এক পর্যায়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে।
সংঘর্ষে আবু সিদ্দিক চৌকিদারসহ তার ছেলে সাইফুল ইসলাম চৌকিদার, রাসেল চৌকিদার, সামসুদ্দিন চৌকিদারসহ তার ছেলে এসকেন্দার চৌকিদার, আনিস উদ্দিন চৌকিদার এবং আজিমদ্দিন চৌকিদারসহ তার ছেলে মজিবর চৌকিদার ও ইলিয়াছ চৌকিদাররা মিলে আজাহার কাজী ও তার গর্ভবতী স্ত্রী মোসাম্মৎ ময়না বেগমকে বেদম মারধর করে। এতে আজাহার কাজী ও তার গর্ভবতী স্ত্রী মোসাম্মৎ ময়না বেগম অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাদেরকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এনে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি আজাহার কাজীর সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, সকালে আমার পালিত মুরগী প্রতিবেশী আবু সিদ্দিকের ঘরে গেলে তার সাথে আমার কথা কাঁটাকাটি হয়। কথা কাঁটাকাটির এক পর্যায় আবু সিদ্দিক চৌকিদারসহ তার ছেলে সাইফুল, রাসেল, সামসুদ্দিন চৌকিদারসহ তার ছেলে এসকেন্দার, আনিস উদ্দিন এবং আজিমদ্দিন চৌকিদারসহ তার ছেলে মজিবর ও ইলিয়াছসহ আরও কয়েকজন মিলে আমাকে এবং আমার গর্ভবতী স্ত্রী ময়না বেগমকে বেদম মারধর করে। আমার গর্ভবতী স্ত্রীর পেটে প্রচন্ড জোরে লাথি মেরেছে। লাথির চোটে সে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। আমি এই অন্যায় অত্যাচারের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে আবু সিদ্দিক চৌকিদারসহ তার সন্তানদের সাথে আলাপ করতে গেলে তাদের কাউকেই এলাকায় পাওয়া যায়নি। তাদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে কল দিলে তাদের মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে জাজিরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, পুলিশ হাসপাতাল এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর তারা উভয়েই স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।