
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের তত্ত্বাবধানে জাতিসংঘ অনুমোদিত দুর্যোগ মোকাবেলায় কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি দল সোমবার বিকেলে পদ্মা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা, মুলফৎগঞ্জ বাজার, ওয়াপদা এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
পদ্মার ভাঙনে শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এবং ক্ষতিগ্রস্থ গৃহহীন ভূমিহীন মানুষের জীবনযাত্রা এবং বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বিদেশী প্রতিনিধিদের কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. খোরশেদ আলম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মোহসীন, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের।
২০১৮ সালের পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে শতাধিক বহুতল বিশিষ্ট ভবনসহ ৫ হাজার ৮১টি পরিবার ভূমিহীন হয়। সে সময় সরকারি সহায়তা থাকায় কাউকে না খেয়ে মরতে হয়নি। তবে ভূমিহীন হয়ে দারিদ্র জীবন যাপন করছেন তারা। বর্তমানে স্থায়ী ভাবে পদ্মার ভাঙন রোধে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মার ডানতীর রক্ষায় প্রকল্প গ্রহন করে তা বাস্তবায়নে কাজ করছেন সরকার। এক কথায় পদ্মার ভাঙনে মানুষের অসহায় হওয়া চিত্র এবং সরকারী সহায়তার চিত্র তুলে এবং ভাঙন রোধে সরকারের স্থায়ী পদক্ষেপের চিত্র তুলে ধরেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মোহসীন ও জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের।
বিদেশী প্রতিনিধিদল পদ্মা নদীর ভাঙনে ক্ষতির চিহ্ন দেখে অবাক হন এবং সরকারি পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাগণ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।